1.কবরের সিম্ফনি
পাষাণের প্রাচীর ঘিরে, মরণের গভীর বাস,
আঁধারের গুহা বাঁধে, বিষাদের বিষম হাস।
জ্বলে কূপের তলে আগুন, জেগে তাপে মৃত প্রাণ,
কিসের মোহে ঘুমায় নর, শ্মশানে বাজে কান্না গান।
এই কবরের মাটি কি রক্ত চায়, তৃষ্ণায় ক্ষুধায় জ্বলে?
কোথায় সেই তেজস্বী নর, প্রাণ দাও তপ্ত জলে!
পৃথিবী দেখেছে অনেক রাজা, অনেক কালের গান,
সবই নীরব কবরের তলে, কালের করাল প্রাণ।
চেয়ে দেখো, পাষাণ এ পাথর চুপসে দিয়েছে জীবন,
কোথায় গিয়েছে মাটি গড়া ত্রাণের সেই শুদ্ধ ঋণ।
জ্বালাও আগুন, ভাঙো শৃঙ্খল, মারণে আনে প্রাণের আলো,
কবর ফুঁড়ে ওঠে জাগরণ, শ্মশানে বাজে নবিন লহর।
শ্মশানই সত্য, এই জীবনে মৃত্যু এসে বলে,
ধ্বংসের ভিতরই গড়ে ওঠে সৃষ্টি, পরিণতি চলে।
এই মাটির নিচে লুকানো শক্তি, জীবন-প্রাণের ধারা,
তাই তো কবরের গান জাগে, মৃত্যুও যে আমার তারা।
......................................................................
2. মরণের ডাকে
মরণের বাঁশি বাজে, জীবনের করুণ সুরে,
শেষের গান গাইছে বুকে, ক্ষণিক আলো ঘিরে।
পথের শেষে দাঁড়িয়ে আছে, শ্বেত কঙ্কালের হাসি,
তবুও কেন জাগে মনে, জীবনের তৃষ্ণার পিপাসি।
তুমি কি দেখেছো মরণের চোখ? সে চায় চুপে চুপে,
যেন এক তীব্র আকর্ষণে সব মুছে দিতে পলকে।
তবুও কোথায় লুকায় আলো, অন্ধকারের তলায়?
মৃত্যুই তো জীবনের মন্ত্র, শিখায় অন্তহীন মায়া।
মরণের আঘাতে জন্ম নেয় এক নতুন দুনিয়া,
ধ্বংসের শূন্যতার মাঝে গড়ে ওঠে সত্যির ভূমিকা।
এই মরণ যে চিরন্তন, ভয় নয়, সে মুক্তি,
জীবনের পরই শুরু হয় চিরজীবনের প্রতিশ্রুতি।
তুমি ভয় পেয়ো না মরণকে, সে তো কেবল দেহ ধ্বংস,
আত্মা যে চির অমর, মৃত্যুই তার জীবন-সংগঠক।
.........................................................................
3. মৃত্যুর পদধ্বনি
দূরে বাজে মৃত্যু-সুর, নীরব নিশীথ রাত,
কালের অন্ধ গলিতে লুকায় জীবনের লিপি পাঠ।
শোকের ছায়ায় ঢেকে যায় সব স্মৃতির কারাগার,
মরণের কণ্ঠে বাজে বাঁচার চিরনবীন তান।
তুমি কি শুনতে পাও, মৃত্যু ডাকে নীরব চিৎকারে?
অন্ধকারের হাত ধরে পথ চলে চির আলোয়ারে।
জীবনের সব বাঁধ ভেঙে মরণ গড়ে পথ,
যে পথ ধরে জন্ম নেয় জীবনের নব রথ।
মৃত্যু শুধু শূন্য নয়, তাতে আছে শক্তি,
অন্ধকারে লেখা হয় ভবিষ্যতের অমৃত পত্র।
.......................................................................
4 .কবরের জাগরণ
কবরের বুকে শুয়ে আছে কত না মৃত স্বপ্ন,
রক্তজবার কাঁপনে ওঠে কালের নিষ্ঠুর জ্বালা।
শক্ত শিলার স্তরে স্তরে লেখা ধ্বংসের ছাপ,
মাটির নিচে গুমরে কাঁদে কত শত হারানো চাপ।
কে জানে কোথায় মুছে গেছে রাজসিক মহিমা?
পৃথিবীর বুক চিরে দাঁড়ায় শ্মশানের শ্বেত সীমা।
কবর শুধু নীরব নয়, তপ্ত আগুনের শ্বাস,
যেখানে মৃত্যু হাসে চুপে, সেখানেই সত্যের বাস।
মৃত্যুর ছায়া শুয়ে আছে, জীবন ডাকে তারে,
কোথায় সেই আলো, যা ভাঙবে শিকল শতকারে?
মাটির নিচে জীবনের বীজ, মৃত্যু তো শুধু পথ,
কবরের ফাটলে ওঠে জেগে, নতুন জীবনের রথ।
তুমি কি ভয় পাও এই কবর, এই অন্ধকার ধূলি?
তবু এখানেই গড়ে ওঠে জগতের চির-স্ফূলি।
এই কবরই বাঁচায় মানুষ, সৃষ্টির মন্ত্র শেখায়,
মরণ-জ্বালায় আলো জ্বেলে, জীবনের গান গায়।
ধ্বংসের মাঝে জন্ম নেয় এক নবজাত চেতনা,
কবরের মাটিতে মিশে থাকে চিরন্তন সত্যনা।
তাই কবর নয় শেষ, বরং শুরু এক নতুন গান,
ধ্বংস থেকে উঠে আসে সৃষ্টির মহাদান।
.......................................................................
5. ধ্বংসের পরাধীনতা
ধ্বংসের চাবুক বয়ে আনে তপ্ত সময়ের ডাকে,
যেখানে জীবন মরে, শুধু শিকল বাজে শূন্য ফাঁকে।
তবুও কেন জাগে আশা, পাথর চূর্ণ করে স্বপ্ন গড়ে?
এই মাটির নিচে লুকায় কি আগ্নেয় জীবনের মশাল ধরে?
ভাঙো বন্ধন, ছিন্ন করো জাগ্রত বীজের পলক,
যেখানে শ্মশান গড়ে, সেখানেই তো জীবনের উন্মাদ ফালক।
এই শিকল পায়ের নিচে, আগুনে দাহ হোক সব,
যে জন আসুক, নেবে আলোক, জ্বালবে জীবন, কাটবে রব।
বজ্ররোলে জাগুক সেই তাণ্ডব, ধ্বংসই শক্তি দিক,
কবরের অন্ধকারে, জীবনকে জাগরুক করে চিরের দিক।
চেতনাহীন জনতার মাঝে, কোথায় জাগে প্রাণের ঝড়?
ভুলেছে তারা, এই ধূলি বুকে সৃষ্টির পুঁথি কত বড়।
এবার সময় এসেছে বলো, তোল তলোয়ার তীব্র আঘাতে,
যে বাঁধ ভেঙে সৃষ্টি হবে, সেই তেজ থাকুক তোমার হাতে।
এই ধ্বংসই সৃষ্টির পথ, এই মৃত্যুতে জীবন হাসে,
ভাঙা কবর থেকে দেখো, জন্ম নেয় নতুন চাঁদের আলো।
6. কালের চিরন্তন মরণ-নৃত্য
পাথরের নৃত্যে বাজে, কালের চাবুক তালে তালে,
জীবন জ্বলে মরুভূমিতে, মরণ আসে আলোর ঢালে।
তবুও কে যেন ডাকে গভীরে, নতুন কোনো পথে,
শিকল ভাঙার বাণী শোনায়, চিতার ধোঁয়ার সাথে।
কবরের গভীর স্তব্ধতা, বিষাদময় জীর্ণ পাতা,
কোনো একদিন এখানেও ছিল প্রেম, ছিল কাঁপন মাতা।
আজ সেই মৃত ভ্রুণে বাজে, মৃত্যু-সঙ্গীতের গান,
মাটি বুকে শুয়ে আছে, সময়ের কঙ্কাল প্রাণ।
অন্ধকারই সত্য, যেখানে আলো এসে থামে,
জীবন মরে শিকলে বাঁধা, ধ্বংসই মুক্তির নামে।
তবুও আশা মিথ্যে নয়, ধ্বংসে জন্ম নেয় সৃষ্টি,
এই মরণ-কাব্যে লুকিয়ে থাকে, অনন্ত জীবনের রূপ।
ফিরে এসো মৃতের রাজ্যে, নাও ধ্বংসের দীপ্তি হাতে,
মরণের পথেই লেখা আছে নবজাগরণের গতিপ্রাতে।
এই শূন্য কবরের তলে, জীবনের ফসল হাসে,
ধ্বংসের মেঘেই সূর্যের আলোক নতুন আশায় ভাসে।
........................................................................
7. মৃত্যুর পদ্মফুল
মৃত্যুর গন্ধে ভরে ওঠে আকাশের ভাঙা পাঁজর,
জীবনের সুর কাঁদে নিরবে, মাটির বুকে বাজে ঘড়।
তবুও কেন জাগে কোথাও, প্রাণের দীপ্ত রশ্মি,
মরণের মাঝে সৃষ্টির গীত, অমৃত হয় অংশী।
শিকলে বাঁধা মাটির বুক, চিতার আগুনে জ্বলে,
ধ্বংসের মাঝে জাগে আশা, নবজীবনের ছলে।
জীবন যে শুধু শূন্য দেহ, মরণ তাও মিথ্যে নয়,
কবরের এই মৌন গানে, তপ্ত হৃদয় সুধা খায়।
যে ফুল ফুটে, পুড়ে শেষ হয়, সেখানেই জীবন গড়ে,
ধ্বংসের মাঝে স্বর্গীয় বীজ, মাটি বুকে আঁধার করে।
শ্মশানের কান্না শুনে বলো, কে আনে নতুন সুর?
মৃত্যুই সত্য, তবুও সেখানেই জীবনের হয় শুরু।
তীব্র শিখায় ছড়াও আলো, ভাঙো সব পাষাণ প্রাচীর,
মৃত্যু থেকে মুক্তি আনো, সৃষ্টি হোক ধ্বংসের পিচির।
এই শূন্যতা স্বর্গের মতো, যেখানে মৃত্যু হাসে,
কবর থেকে জীবনের মশাল চিরদিনের মতো ভাসে।
...................................................................
8.কবরের ভাষা
মাটির তলায় শুয়ে আছে, কত না ভাঙা স্বপ্ন,
কতই যে কান্নার সুর, কত নিঃশব্দ যন্ত্র।
কবর জানে, কীভাবে মিশে যায় জীবন ধূলায়,
কীভাবে সব সুখ-বেদনা শেষ হয় এক মহাশূন্যায়।
পাষাণ মাটির নিচে বসে, মৃত্যু হাসে ক্ষণে,
জীবন দেখে বলে, "তুমি হারাবে আমাকেই চিরকালে।"
তবুও কী লুকায় না কবর, এক অমৃত চেতনা,
যেখানে ধ্বংসের মাঝে বাজে, সৃষ্টি রচনার যন্ত্রণা।
এই শ্মশানের নিস্তব্ধতা, এক ভয়ঙ্কর দাহের গান,
জীবন ও মৃত্যু একই পথে চলে, যেন এক প্রবাহমান।
কবরের মাটিতে শুয়ে আছে, রাজা, রাণী আর কৃষাণ,
সবাই এখানে সমান, নেই কারো কোনো বর্ণ, কোনো মান।
তবে কেন মাটির বুকে, এতো জ্বলন্ত ইতিহাস?
কবর তো বাঁচায় সব, রাখে জীবন-মৃত্যুর স্পর্শ।
কবরের নিচে বাজে, কালের সিম্ফনি রুদ্র সুরে,
এই নিস্তব্ধতায় আছে বাঁচার গোপন মন্ত্রে।
তুমি ভয় করো, অথচ কবরই সত্যের পথিক,
জীবনের শেষে এখানেই হবে, শেষ শ্বাসের ঠিক।
তাই কবরের ভাষা শিখো, শোনো তার নীরব গান,
মৃত্যুই জীবনের একমাত্র চিরন্তন মান।
..................................................................
9.কবরের নীরব ভাষা
পাথরের বুকে শুয়ে আছে, শীতল মৃত প্রাণ,
চাঁদের আলো মরে গিয়ে আঁধার করে গান।
কবর জানে জন্ম-মৃত্যুর চিরন্তন সেই খেলা,
যেখানে শেষ হয় জীবন, শুরু হয় অন্ধের মেলা।
শুষ্ক মাটির নিচে লুকায়, অগণিত রক্ত চিহ্ন,
প্রেম আর ঘৃণা সব মিশে যায় এক অন্ধ গহ্বর বিন্ধ।
নিশীথ রাতের শূন্যতায় শোনো কবরের কথা,
এই মাটিতে রক্ত দিয়েছে যারা, তাদের কথা নাহি ফুরতা।
কবরের তলে রাজা শুয়ে, শুয়ে আছে ভিখারি,
নেই কোনো ভেদাভেদ, নেই কোনো দম্ভের জারি।
তবুও যেন এই শূন্য মাটি জাগায় তীব্র চিৎকার,
জীবনের সব স্মৃতি ভেঙে মৃত্যু দেয় তার বার।
কবরের গন্ধ বিষাক্ত তবু, তাতে আছে শান্তি,
জীবনের শেষ অগ্নিস্ফুলিঙ্গে লুকিয়ে শ্মশান কান্তি।
তুমি কি জানো কবরের সুর, তার অন্তঃস্থল ভাষা?
যেখানে সবকিছু মিশে এক, সেখানে নেই কোনো আশা।
তবে এই মৃত্যু-অন্ধকারে আছে নতুন পথের খোঁজ,
ধ্বংসের তলায় গড়ে ওঠে, জীবনের নব শৃঙ্খল রোজ।
কবরের মাটিই চিরসত্য, যেখানে থামে প্রাণ,
এই চেতনা মিথ্যে নয়, ধ্বংসই সৃষ্টির দান।
..................................................................
10. ইসলামের তলোয়ার
ইসলামের তলোয়ার হাতে, দাঁড়াও সত্যের পানে,
অন্যায়ের শিরোচ্ছেদ করো, দেখাও ন্যায়ের মানে।
তাওহিদের রশ্মি জ্বলে, নবীর বাণী ধরে,
ধ্বংস করো মিথ্যার কুঠার, আলোর পথে চলো ওরে।
আল্লাহ এক, পথ একটাই, দ্বিধার স্থান কোথায়?
মুসলিমের রক্তে বয় যে সাহস, তা তো মৃত্যুকে ঠেকায়।
তুমি যদি ভয় করো শত্রুর দাপট, তবে কীসের মুসলমান?
ইসলামের ডাকে যারা চলে, তারাই তো সত্যের প্রাণ।
শোষকের মূর্তি চূর্ণ করো, রক্তে লেখো ইতিহাস,
এই মাটি তো সত্যের পথে জাগায় চির শান্তির বাতাস।
মৃত্যুই যদি মুক্তি দেয়, তবে ভয় কিসে ওরে?
ইসলামের পতাকা উড়িয়ে চলো, চির সত্য পথে।
.......................................................................
11. নবীর প্রেমে জাগরণ
নবীর নামে শুরু হোক, জীবন নতুন পথে,
তাওহিদের আলোয় ভরে ওঠে, আঁধার শূন্য হাতে।
রাসুলের প্রেমে মজে যেসব প্রাণ, তারা তো চিরজাগ্রত,
তারা মরে যায়, তবুও বাঁচে, আল্লাহর প্রেমে উজ্জ্বল।
পথ যত কঠিন হোক, তবুও ভয় নয়,
ইসলামের প্রেমেই খুঁজে পাওয়া যায় জীবন-মৃত্যুর জয়।
আল্লাহর পথে যারা চলে, তারা তো সাহসী পথিক,
তাদের কাছে ধ্বংসও মিষ্টি, মৃত্যুও চির আনন্দময় শ্লোক।
.......................................................................
12. জেহাদের অগ্নি
জেহাদের অগ্নি জ্বলো, শত্রুর দুর্গ দহন করো,
ইসলামের পথে আলোর শিখা, প্রতিটি অন্ধকার ভেদ করো।
তোমার হাতে সত্যের দীপ, অন্যায়ের বুকে বাজাও তীর,
মুসলিমের হৃদয় জাগুক সাহসে, ভয়কে করো তুচ্ছ চির।
তুমি যদি নবীর উম্মত হও, তবে জাগ্রত করো প্রাণ,
ইসলামের প্রেমে দাও চিৎকার, সৃষ্টির চির উন্নান।
তাওহিদের পথে চলতে শিখো, সত্যের পতাকা হাতে,
আল্লাহর নামে গর্জে ওঠো, মিথ্যার মুখ ভেঙে চূর।
.....................................................................
13. আল্লাহর নূর
আল্লাহর নূরে ভরে ওঠে, পৃথিবীর প্রতিটি কোণ,
তাওহিদের বাণী বাজে, নবীর আদেশই মূল নিয়ন্ত্রণ।
অন্যায়ের দেয়াল গুঁড়িয়ে দাও, সত্যের দীপ জ্বালো,
ইসলামের প্রেমে জীবন দাও, মৃত্যুকেও ভালোবাসো।
শত্রুর শির দহন করো, আলোর পথ করো উন্মুক্ত,
ইসলামের প্রেমেই লুকিয়ে আছে পরম শান্তির যুক্ত।
তুমি যদি মুসলিম হও, তবে ভয় কিসে ওরে?
আল্লাহর শক্তি হাতেই ধরে, ধ্বংস করো মিথ্যার মূলে।
....................................................................
14. ইসলামের নব জাগরণ
ইসলামের পতাকা তোলো, পৃথিবী করো আলোকিত,
মৃত্যুকে জিততে শিখো, জীবন দাও চির উজ্জ্বল।
আল্লাহ এক, নবী তার রাসুল, জীবনের পথে পথিক,
তাওহিদের পথে জন্ম নেয়, সৃষ্টির চিরন্তন ধ্বনিক।
তোমার হৃদয়ে তেজ আনো, ইসলাম যে চির সত্য,
মৃত্যুই তার জয়গান, জীবনের সেই নিত্য মুক্ত।
এই মাটি জ্বালাও প্রেমে, আল্লাহর নামে গড়ো জীবন,
ইসলামের আলোয় জাগুক মানবতা, ভাঙুক শত শত বেদন।
....................................................................
15.নবীর কাহিনি
জ্বলজ্বলে বুকে চিরনবীন, মক্কার এক দীন সন্তান,
জন্ম নিলেন মোহাম্মদ, যে নাম আলো করল কোরআন।
কুরাইশের ঘর অন্ধকারে, উঠল তাওহিদের আলো,
নবীর বাণী হিমালয় সম, ভাঙল শয়তানের পালো।
জাহেলিয়াতের গভীর রাতে, জ্বালালেন সত্যের দীপ,
আল্লাহর নামের মন্ত্রে তিনি দিলেন বিশ্বাসের নীপ।
শুধালেন পথ পরম করুণায়, সিক্ত করলেন দীন,
ভুলে থাকা মানবতার মাঝে, এলেন চিরসত্যের বিন।
তীব্র ঝড় বইল তবু, শত্রু জুটল অসংখ্য,
তবুও নবীর মুখে হাসি, তাওহিদের ডাক তিনি দিলেন চমক।
বদরের ময়দানে যে সৈনিক, সত্যের জন্য প্রাণ দিল,
তাদেরই নেতা নবীজী, ইতিহাসে অমর নাম লিখিল।
তাই তো কাবার গর্ভে আজও, গম্ভীর ধ্বনি বাজে,
নবীর প্রেমে বেঁধেছে জীবন, যত মানব ইতিহাস সাজে।
তোমার হৃদয়ে জ্বালো আলো, নবীর শিক্ষা ধরো,
এই দুনিয়া বদলাবে তবে, সৎ পথে যদি চলো।
তাওহিদ যে নবীর শিক্ষা, আল্লাহ এক এই দীক্ষা,
মিথ্যা জড়ানো পৃথিবী ভেঙে গড়ো, সত্যের এই ইতিহাস।
......................................................................
16. হযরত আদম (আ.)
প্রথম পিতার মতন, আদম নামের এক নবি,
পৃথিবীর তলে জন্ম নিলেন, আল্লাহর আদেশে অনুগ্রহী।
এঁকেছিল জগতের প্রথম দিশা, সমতা, শান্তির বাঁশি,
তারই পথ ধরে চলল মানবতা, উল্লাসে খুশি।
বিপদে পড়ল পৃথিবী, শয়তানের ফাঁদে বন্দী,
তবুও আদমের নীতি, ন্যায়েরই পথে খণ্ডিত।
তাঁর কাহিনি আজও গুনগুন, মানবতার গান,
পথ হারালে তার আদর্শ, আবার ফিরে আসুক প্রাণ।
........................................................................
17. হযরত ইদ্রিস (আ.)
এক জ্ঞানী নবি, ইদ্রিস নামের মহান,
আল্লাহর বাণী জ্ঞানে, তাকে দিয়েছিল অমৃত স্বর।
আল্লাহর পথকে জানিয়ে, আলো ছড়াতো সারা যামান,
যতটুকু ছিল পৃথিবীতে, বাকি ছিল শুধু কল্যাণ।
তিনি প্রথম মানুষ, শিখালেন লিখন-কৌশল,
ইসলামের পথে জীবনে, চললেন অটুট দুর্বল।
অবশেষে তিনি উঠলেন, আসমানে এক দিনের রাতে,
ইসলামের সুরে বাজে, ইদ্রিসের প্রেমের রাতে।
......................................................................
18. হযরত নূহ (আ.)
নূহের কাহিনি তো এক অনন্ত, এক বিরাট সাগর,
পৃথিবী গাঢ় অন্ধকারে, তিনি ফিরিয়ে আনলেন সলিম্ব।
আল্লাহর নীশানিতে, তৈরি করলেন কাঠের কুব,
তবে শত্রু পিছু নিল, তাদের চোখে অবিশ্বাসের কোপ।
যখন পৃথিবী সিক্ত হল, নূহের দরকারি শক্তি,
দ্বীপে দ্বীপে ভেসে গেলো, শত্রুর ধ্বংসের নীতি।
অন্যায়ের পথে ধরা পড়লে, যে জাহাজে চড়ে থাকে,
সে তো মেনে চলে আল্লাহর পথে, তাওহিদ ছড়িয়ে যায়।
.........................................................................
19. হযরত মুসা (আ.)
মুসা, ফারাওর গলিতে জন্ম নিয়েছিল অসীম শক্তি,
আল্লাহর মন্ত্রে ছিলেন তিনি, শত্রু-ধ্বংসের পথিক।
রক্তের অগ্নিতে গড়ে উঠেছিল, এক নতুন আলোর দিশা,
ফারাওর রাজ্যে, হার মানল মুসার ঈমানের নিখুঁত দৃঢ়তা।
তার হাতে ছিল শক্তি, সেই শক্তিতে ছিল বাণী,
মুসা তো এক হক্কানি, সোজা আল্লাহর পাথেয়।
সেই মাটি মিশে গেছিল, চির নতুন ধর্মের বাণী,
এখনো তার কাহিনি শোনে, বিশ্ব এক শান্তির মহামানি।
........................................................................
20. হযরত মুহাম্মদ (সা.)
মোহাম্মদ নামের নবী, আল্লাহর শেষ পরিপূৰ্ণ বাণী,
বিশ্বের হক্কানির পথ, স্বরূপ ছিল দয়া ও মণিমুক্তি।
মক্কায় জন্ম তাঁর, যা ছিল অবিশ্বাসের রাত,
তবে নবীর চমৎকার প্রেমেই ছিল পৃথিবীর মহান হাত।
দুনিয়ার পথে ফিরল, ইসলাম সেই অমল সত্যের কথা,
যে কথা মানবতা ঘিরে রেখেছিল, এক চিরদীপ্ত দেখা।
শহীদ হলে না হক্কানি, কিন্তু তাঁর ধ্বজা উড়ছে চিরকাল,
তাঁর কাহিনী আজও শোনো, এটি তো পৃথিবীর এক মহামাল।
........................................................................
21. হযরত ইউসুফ (আ.)
ইউসুফ, সৌন্দর্য আর সঙ্গীকে সাথে নিয়ে চললেন,
মায়ের ভালোবাসা, ভুলে গিয়ে অন্ধকারে গন্তব্য।
ভ্রাতা শত্রু হয়ে ওঠে, গহ্বরে ফেলে তাকে,
তবে ঈমানের আলো, সুদূর থেকে তাকে আনল সাথে।
কর্তৃত্বের শিখরে পৌঁছালেন, মিশরে পুরাণ বয়ে,
শত্রু ভাইয়ের কাছে ক্ষমা, এমন সত্যিই বিরল সয়ে।
ইউসুফের বাণী, প্রেমের পতাকা সারা পৃথিবী টানে,
এ ইতিহাস সবার পক্ষে, পবিত্র ঈমানের অঙ্গনে।
.......................................................................
22. হযরত দাউদ (আ.)
দাউদের কাহিনিতে গাওয়া ছিল এক অমল সুর,
রাজা হোক বা কবি, তাঁর প্রতি ছিল এক আল্লাহর নুর।
গাঁথা ছিল তাঁর হৃদয়ে, দয়া, প্রেম ও দান,
নির্যাতিত মানুষগুলোর, তিনি ছিলেন শেষ আশ্রয় স্থল জান।
কুলুঙ্গি বা রাজত্ব যেখানেই, তিনি লড়েছিলেন সদা,
ঈমানের সাথে সামনে চলে, কাঁপতে দিতেন শত্রুর ঢাক।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তিনি দিলেন শান্তির কৌশল,
দাউদ আল্লাহর নির্বাচিত, এক কুত্তির উপাস্য পণ্য।
.......................................................................
23. হযরত আয়ুব (আ.)
আয়ুব, যিনি কষ্ট সহ্য করে, ঈমান ধরে রেখেছিলেন,
দুঃখের মাঝে শান্তি খুঁজে, তাঁর চোখে সুর ও হৃদয় চাহনি ছিল।
বড় রকমের পরীক্ষা, তাঁর শরীরে অস্থির ক্ষত,
তবু একটিবারও আল্লাহর প্রেমে হয় না দুর্বলতা সেত।
প্রতিটি ব্যথা ও কষ্ট, সে গ্রহণ করেছিল সহানুভূতি,
নিজের রক্তের দাগে কেবল ছিল তাঁর স্থায়ী ঐশ্বরিক সত্য।
আল্লাহর নামের ধ্বনি আজও শোনা যায় সারা দুনিয়া,
আয়ুবের ঈমানের কাহিনি, প্রেম ও একান্ত স্নেহের আহ্বান।
......................................................................
24. হযরত ইয়াসিন (আ.)
ইয়াসিন, নবীর একজন, কুড়াল দিয়ে কাটলেন শত্রুর মিথ্যা,
অথচ ঈমানের পাহাড় সয়েছিল তাঁর হৃদয় নীরব চাহনি।
তিনি ছিলেন পৃথিবীর পথে, সৃষ্টির নিখুঁত স্রষ্টা,
সেই আহ্বানে ইসলামের প্রতি হয়ে উঠলেন তাঁরা শক্তি মস্তা।
দুঃখ বা মৃত্যুর কাঁটা, তিনি আল্লাহর কাজে বিলীন,
শত্রুর শোরগোলও আসতে না পারল তাঁর নীরব গানে।
প্রথমেই তাঁর কাহিনি, নতুন যুগের পথে আলো,
ইসলামের ভরপুর সুরে মিলেছিল চিরস্থায়ী ভালবাসা।