১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলার আকাশে তুমি উজ্জ্বল তারা,
তোমার গানে খুঁজে পাই মধুর ধারা।
শান্তিনিকেতনে রচিলে জ্ঞান-মেলা,
তোমার কবিতায় ফুটে ওঠে প্রেমের রূপকথা।
গীতাঞ্জলিতে দিলা বিশ্বজয়ের গান,
তুমি বাংলা সাহিত্যের চিরন্তন প্রাণ।
প্রকৃতি, মানুষ, জীবনের অনুভব,
তোমার লেখায় পাই মহাকালের নব নব।
.........................................................।
২. কাজী নজরুল ইসলাম
বিদ্রোহী কবি, তুমিই অনন্য,
তোমার শব্দে জেগেছে বাঙালির স্পন্দন।
ধর্ম, জাতি, মানুষে তুমি সেতু গড়,
তোমার গানে জেগেছে মুক্তির উদার।
তুমি সাম্যের কবি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগুন,
তোমার কলমে ঝরে প্রতিবাদের জ্বালামুখ।
তোমার গান শোনায় প্রেমের বার্তা,
তুমি বাঙালির মনের একান্ত আশ্রয়।
............................................................
৩. জীবনানন্দ দাশ
নদী, মেঘ, মাঠ আর বৃক্ষের কাব্য,
তোমার কবিতায় খুঁজে পাই জীবনের পাঠ।
তুমি প্রকৃতির ছায়ায় তুলে ধরলে মায়া,
তোমার শব্দে বাংলার রূপ নিল ছায়া।
তোমার কাব্যে জাগে নির্জনতা,
তুমি বাংলার আকাশে চিরকাল অনন্ত।
বনলতার রূপে তুমি অমর কবি,
তোমার শব্দে প্রকৃতির রূপকথা সৃষ্টি।
............................................................।।
৪. সুকান্ত ভট্টাচার্য
তরুণ হৃদয়ে জাগালে বিপ্লবের তান,
তোমার কবিতায় জাগে সাম্যের গান।
তুমি দুঃখী মানুষের আশার আলো,
তোমার শব্দে ফুটে ওঠে সংগ্রামের ভালো।
তুমি চিরযুবা, তুমি স্বপ্নের দিশারি,
তোমার কাব্য তরুণের হৃদয়ে বাজায় সুরের ভাঁড়ি।
কর্মজীবনের কথা বললে স্পষ্ট,
তুমি বাংলার সাহিত্যে অবিস্মরণীয় চরিত্র।
......................................................।।
৫. জসীম উদ্দীন
পল্লীকবি, তুমি বাংলার মাটির গান,
তোমার কলমে জাগে গ্রামীণ প্রাণ।
নদীর স্রোতে বাজে তোমার গানের সুর,
তুমি বাংলার হৃদয়ে মুগ্ধতার ঘূর্ণি।
তোমার কবিতায় শস্যক্ষেতের আভা,
তুমি প্রকৃতির প্রেমিক, বাংলার আশা।
তোমার গানে মেলে গ্রামজীবনের কথা,
তুমি চিরকাল বাংলার মাটির কবি।
............................................................।
৬. শামসুর রাহমান
স্বাধীনতার কবি, তুমি অগ্নিবাণ,
তোমার কলমে ফুটে ওঠে সংগ্রামের গান।
তুমি বাংলার গৌরব, স্বাধীনতার ত্রাণ,
তোমার কবিতায় জেগে ওঠে জাতীয় প্রমাণ।
তুমি মুক্তিযোদ্ধার মনের কণ্ঠস্বর,
তোমার লেখায় মেলে সাহসের অপরূপ প্রহার।
তুমি বাংলার চেতনার দিশারি কবি,
তোমার কাব্যে আমরা পাই বাঁচার সুরভি।
...............................................................
৭. সুফিয়া কামাল
নারীর অধিকার তুমি জাগালে শব্দে,
তোমার কবিতায় ফুটে ওঠে নারীর মুখ।
তুমি সাহসের প্রতীক, মানবতার দিশারি,
তোমার কলমে মেলে নারীর নতুন কাব্যগাথা।
তুমি জাগালে বাংলার চেতনায় আলো,
তোমার সৃষ্টিতে পাই সাহসিকতার পাল।
তুমি বাংলার নারীজাগরণের কবি,
তোমার পথ ধরে হেঁটে চলি অনন্ত কাব্যে।
..................................................................
৮. আল মাহমুদ
ধানের শীষে বাজে তোমার কাব্যের রাগ,
তুমি প্রকৃতির প্রেমিক, মাটির রঙিন স্রোত।
তোমার শব্দে বাংলার গ্রামীণতা,
তুমি বাংলার হৃদয়ে বুনলে সুরম্য ছায়া।
তোমার কাব্যে মেলে মাটির কথা,
তুমি কবি, জীবন থেকে তুলে ধরো আশা।
তোমার লেখায় মুগ্ধ হয় বাংলার মন,
তুমি বাংলার প্রকৃতির একান্ত সৃজন।
.........................................................
৯. ফররুখ আহমদ
ধর্ম, জীবন, সভ্যতার কথা,
তোমার কবিতায় মেলে নতুন দিশা।
তুমি বাংলার চেতনার আলোকবর্তিকা,
তোমার শব্দে মিশে শান্তি আর প্রার্থনা।
তুমি ইসলামের কবি, তুমি ধ্রুবতারা,
তোমার কাব্যে মেলে আধ্যাত্মিক আশ্রয়।
তুমি বাংলার সাহিত্যে চির অমল,
তোমার কবিতা চিরকাল আলোকিত প্রহর।
.........................................................।।
১০. নির্মলেন্দু গুণ
তুমি শ্রমিকের কবি, প্রতিবাদের কণ্ঠ,
তোমার কাব্যে জাগে সংগ্রামের শক্তি।
তুমি তুলে ধরো শোষিতের কথা,
তোমার লেখায় মেলে বিদ্রোহের বার্তা।
তুমি বাংলার সাহিত্যের মশালধারী,
তোমার কবিতায় বাজে মানুষের গান।
তুমি জীবন থেকে খুঁজে পাও শব্দের আলো,
তোমার সৃষ্টিতে জাগে চিরন্তন ভালো।
......................................................।।
১১. সবুজের ডাকে
তোমার সবুজ ঘাসে লুটোপুটি খেলে,
প্রাণ জুড়ায় বাতাসে ধানের মিঠা গন্ধ মেলে।
মেঘের দেশে ছুটে যায় পাখিদের সারি,
তোমার প্রতিটি ভোরের রোদ্দুর আমারই।
তোমার নদীর জলে দেখি মায়ের মুখ,
তোমার গ্রামের পথে হারাই সুখের সুখ।
হাজার বছর ধরে তুমি আছো চেনা,
তোমার প্রেমে জড়িয়ে পৃথিবীটা যেন।
আকাশ ছুঁতে চায় যে তোমার দিগন্তে,
স্বপ্ন বুনে প্রাণ সবুজ পলিমাটির বুকে।
বাংলাদেশ, তুমি জেগে থাকো চিরকাল,
তোমার আলো ছড়ায় নতুন সকাল।
যুদ্ধজয়ের গল্প গায় প্রতিটি বীজ,
তোমার জন্য লড়াইয়ে ঝরেছে প্রাণের রিজ।
আজও আমরা জেগে আছি তোমার তরে,
তোমার মাটির ঘ্রাণেই জীবন ধরে।
............................................................।
১২. রক্তের নদী
তোমার মাটি রক্তে ভেজা এক ইতিহাস,
মুক্তির গানে বেঁধে ছিল সব জনতার আশ।
স্বাধীনতার পতাকা উড়ল প্রথমবার,
তোমার জন্য আমরা লড়েছি বারবার।
তোমার নামে জ্বলে আশার প্রদীপ,
তোমার স্বপ্ন দেখেই কাটাই প্রতিটা নিদ।
জলজ ধানের ক্ষেতে উঠে আসে যে গান,
তোমার ঘ্রাণে জুড়ে যায় জোড়া প্রাণ।
শত্রুর চোখে ছিল কত হিংসার দৃষ্টি,
তবু তুমি থেকে গেলে অমল পবিত্র।
তোমার জন্য হারিয়েছি কত সহস্র প্রাণ,
তোমার জন্য বয়ে গেছে চোখের অশ্রুবান।
তোমার গল্প শোনায় বাতাস প্রতিদিন,
তোমার নামে বাঁধি মনের প্রতিশ্রুতি সৃজন।
বাংলাদেশ, তুমি জেগে থাকো চিরকাল,
তোমার কীর্তি ছড়াক পৃথিবীর সব কাল।
.....................................................................
১৩. মাটির সুর
তোমার মাটি গান শোনায়,
হাজার বছর ধরে।
পলিমাটি বয়ে আনে,
জীবনের স্বপ্ন-ভরে।
তোমার গাছ, তোমার ফুল,
সবুজ পাতার দোল।
তোমার ঘ্রাণে মন হারায়,
তোমার মাটির কোল।
রোদেলা দিনে, শীতের রাতে,
তোমায় লাগে আপন।
তোমার আলোয় দেখি আমি,
জীবনের নতুন বরণ।
তোমার বুকে জন্মেছি আমি,
তোমাতেই শেষ হবে দিন।
বাংলাদেশ, তুমিই আমার
সব সুরের আয়োজন।
......................................................।।
১৪. বিজয়ের আলো
বিজয়ের আলো ফুটল তোমার ঘরে,
মুক্তি গানের সুর বাজল শত্রুর তরে।
লাল-সবুজের পতাকা হাতে উড়ে,
তোমার সন্তান হলো সাহসী ঝড়ে।
তোমার নামে বেজে ওঠে হৃদয়ের তাল,
তোমার জন্য দিয়েছি কত না আত্মবলিদান।
তোমার পানে তাকিয়ে দেখি আশা,
তোমার আলোতেই কাটে দুঃখ-ঘেরা নিশা।
তোমার নদীর ঢেউয়ের মিষ্টি সুর,
তোমার বাতাসে বাঁচে সব প্রাণের মধুর।
তুমি বাঁচাও, তুমি শেখাও নতুন স্বপ্ন,
তোমার আলোতে খুঁজে পাই শান্তি অপার।
তোমার গল্প বলে মাঠের ধান,
তোমারই কোলেতে কাটাই জীবন গান।
বাংলাদেশ, তুমি চিরসবুজ,
তোমার কীর্তি থেকে ছুটে যায় অমল হরষ।
.........................................................।
১৫. চির সবুজ বাংলাদেশ
চির সবুজে ঢাকা তুমি,
তোমার হৃদয় আকাশতুমি।
শস্যের মাঠে খেলে রোদ,
তোমার বুকে নদীর স্রোত।
মাটির ঘ্রাণে জাগে প্রাণ,
তোমার আলোয় রঙিন দিনমান।
তোমার মায়ায় বাঁধা মন,
তোমার মাটি জুড়ে জীবন।
তোমার আকাশে রঙিন তারা,
তোমার বাতাসে মুক্তির সুর।
তোমার বুকে বয়ে যায়,
আশার এক অনন্ত নূপুর।
তোমার নামেই জাগি,
তোমার নামে হারাই।
বাংলাদেশ, তুমি চির নতুন,
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমরণ।