আকাশের উচ্চ শিখরে হেথায় শান্তির ঝর্ণাধারা,
পৃথিবী জুড়ে মুক্তির বাণী, মহান নবীই মূলভারা।
মরুর বুকে নেমে এলো অম্লান দীপ্তি একদিন,
মহানবীর আলোকে ঝলমল করিল ভূমি, অচিন।
অন্ধকারের তলদেশে জ্বলল সত্যের প্রদীপ,
নবীজীর ওহীর ছোঁয়ায় হইল জগত উজ্জ্বল নীপ।
বন্দনা করি তিনি যাঁর নাম ধ্রুবতারা,
দূর করিলেন বিভ্রান্তি, পৃথিবীর পথের কুসুমারা।
দুনিয়ার ঘোর আঁধারেতে এল এক শ্রেষ্ঠ পুরুষ,
বাণীর মিষ্টি ছন্দে নবী দিলেন শান্তির পরশ।
তিমিরে ঢেকে থাকা মানবতা পেল তার ঠিকানা,
হযরত মোহাম্মদের দাওয়াতে এল মুক্তির খিলখিলানা।
কঠোর পথে চলতে নবী করলেন সকলকে আহ্বান,
অবিচল ধৈর্য ধরিয়া দিলেন সুস্পষ্ট ইমানের দান।
আদর্শে তিনি বিরল, নৈতিকতায় অতুলনীয়,
শান্তি ও সুবিচারে দিলেন জীবনের সঠিক প্রতীয়।
মক্কার প্রান্তরে দাঁড়িয়ে উচ্চারিত হল বাণী,
নবীর কথায় মিলল এক নবজাগরণ, এক পরিণত জানি।
জগতের সকল বাঁধা পেরিয়ে এল মুক্তির গান,
শান্তির বাণী ছড়ালেন নবী, মুগ্ধ করিলেন বিশ্বমান।
ধ্বংসের গর্জন সিক্ত করিল মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি,
নবীজীর নির্দেশনায় এল সত্যের দীপ্তি, নিঃশব্দ শংখি।
বিস্ময়ে মোড়ানো নবীজীর জীবন ছিল এক আলোকময় অধ্যায়,
যার পদাঙ্ক অনুসরণে পৃথিবী পেল মুক্তির নববায়।
মধুর বাণীতে তিনি করিলেন হৃদয় আলোকিত,
দুঃখ-কষ্ট দূর করিয়া করিলেন জগতকে সংলগ্নিত।
ধরার প্রতিটি স্তরে নবীর উদারতায় মুগ্ধ সবাই,
মানবতার সেবায় নবী ছিলেন নিঃস্বার্থ, শান্তির বার্তাবাহী।
তাঁর পথ ধরিয়া আজও জগত আলোকিত,
প্রভাতের রশ্মিতে নবীর আদর্শের গতি সৃষ্টি।
শান্তির চেতনায় জাগে বিশ্বের সর্বত্র দীপ্তি,
নবীজীর বাণীতে পাওয়া যায় মুক্তির পরম ক্ষমা ও অনুগ্রহ রীতি।