পাখির ডাকে ভোর হয় গ্রামে,
মাঠে নামে চাষিরা, হাতে লাঙল বাঁধা।
দূর মাঠে মেয়েটা হেঁটে চলে, কলসী কাঁধে,
তাকে দেখে মনে পড়ে মায়ের ছায়া,
যে আঁচলে মুছত মাটি আর ঘামের ফোঁটা।
মাটির গন্ধ মিশে থাকে সারা দেহে,
মেয়েটির চোখে জলের আভাস,
বাবার খালি মাঠ ফাঁকা হয়েছে,
শূন্য দিগন্তে শুধু পাখির গান বাজে।
মায়ের চুলে আজ আর বাঁধা নেই সেই কুসুম,
জীবন বয়ে গেছে এক নদীর মতো—
কখনো শুকনো, কখনো বানের জলে ভাসা।
মেয়েটা মাকে দেখে, দেখে সময়ের ক্ষত,
তবু সে চায়, আশার আলো নিয়ে বাঁচতে।
গ্রামের আকাশে সূর্য ডোবে ধীরে,
জীবনের গল্পগুলো মিশে যায় মাটির সাথে,
মেয়ে, মা, আর সেই ফাঁকা মাঠের হাওয়া—
সবাই বলে একটাই গল্প,
গ্রামের গল্প, জীবন-সংগ্রামের গল্প।