তোমাকে অবলোকন করেছি এক দিব্য প্রাতে,
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সবুজ সুষমায়।
মৃত্তিকার শীতল বক্ষে নেমেছিল জ্যোৎস্নার ছটা—
তোমার কেশপাশে জড়ানো মুগ্ধতার মেঘ।

ফাহিমা, জানো কি,
তোমার গমনবিলাসে শ্রাবণের সুর নেমে আসে?
তোমার নেত্রপল্লবের নিবিড় গভীরে,
এক গোপন জোয়ার বয়ে চলে নিরন্তর।

তুমি আড়াল করো নিজ মায়াময় প্রতিচ্ছবি,
তবু বাতাসে ঘোরে তোমার গন্ধরেণু।
আমি থেমে থাকি, নিস্তব্ধ চেতনার প্রান্তে—
তোমার একফোঁটা হাসি যেন সুরলোকের মুকুর।

গণিতের জটিল গ্রন্থিতে নিমগ্ন তুমি,
আমি তন্ন তন্ন খুঁজি সেখানে প্রণয়ের তত্ত্ব।
তোমার সূত্রের অন্বেষণে এক শূন্য সমীকরণে,
আমার অস্তিত্ব কি কভু পায় প্রমাণ?

তুমি, হয়তো জানো না,
তোমার পথচিহ্নের প্রান্তে আমি নীরব প্রতীক্ষক।
তোমার চরণধ্বনির এক ক্ষীণ সুষমা—
জাগ্রত করে আত্মার গভীরতম আকাঙ্ক্ষা।

ফাহিমা, তুমি যেন ধ্রুপদী কাব্যের প্রতিমা,
তোমার ছায়া আমার প্রতিটি ছন্দে জাগ্রত।
তোমাকে নিবেদন করি সৃষ্টি-সংলাপ,
তবু হৃদয় গুমরে মরে এক মৌনতাপূর্ণ কারাগারে।