রংপুরের মাটিতে, উঠল যে ডাক,
দেবী চৌধুরানী, নিলেন প্রতিশ্রুতি একাক।
নদীর ধারে, বনের ছায়ায়,
তাঁর শক্তি আর সাহসের হাওয়া বইল নিরবধায়।
পূর্ণেশ্বরী নামে মেয়ে ছিল একদিন,
কঠিন জীবন আর কষ্ট ছিল সংগিন।
বিধবার বেশে, সমাজ করল ঘৃণা,
তবু মেয়েটির ছিল না কোন বিলাপের ভীষণা।
দুর্গম পথে চলল সে সাহসী পা,
দস্যুদের সাথেই বাঁধল এক সঙ্গীত-সুরভী স্রোত।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জন করল যে কণ্ঠ,
বিপ্লবের প্রতীক, হলেন তিনি নিঃশঙ্ক।
বৃটিশ শাসনে নীল করল বঞ্চিত প্রাণ,
দেবী চৌধুরানী দাঁড়ালেন তাঁর প্রাণপণ।
শোষিত জনতার চোখে আনলেন আলো,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ছড়াল তাঁর বলিষ্ঠ কালো।
জমিদারের তলোয়ার তাঁর শিরে বিদ্ধ হল,
তবু তাঁর স্পর্ধা কখনও নত হল না।
রংপুরের মাঠে রক্ত ঝরল বটে,
কিন্তু দেবীর আদর্শ রইল অবিচলিত মতে।
মেয়েদের সাহস, শক্তির গাথা,
চিরকালের মতো তিনি হলেন মহাকাব্যের পথপ্রদর্শিকা।
নির্ভীক মন, ন্যায়ের গান,
দেবী চৌধুরানী, তুমি বাংলার সম্মান।
তুমি ছিলে না শুধুই এক নারী,
তুমি ছিলে সংগ্রামের ঝড়ের গর্জনধ্বনি।
তোমার নামে এখনও মাটির বুক কাঁপে,
রংপুরের আকাশে যেন প্রতিধ্বনি ঝরে।
দেবী, তুমি চিরন্তন স্বাধীনতার মশাল,
অন্যায়ের পথে তুমি করেছিলে প্রতিবাদ শক্তিশাল।
রংপুরের মাটি আজও স্মরণ করে,
তোমার গৌরবগাথা, যতদিন সূর্য ওঠে।