1. বিদ্রোহীর নতুন গান

আমি তো সেই বিদ্রোহী রক্তে গড়া মানুষ,
আমি আগুন, আমি ঝড়, আমি সৃষ্টির হাসি।
আমার বুকে খেলা করে বজ্রের গর্জন,
আমি ছুটে চলি দিগন্তে, ভাঙি সব বাঁধন।
আমার তর্জনী উঠে, বলে অন্যায়ের কথা,
আমি দেখেছি অমানিশায় কাঁপা মানুষ রাত।
আমি সেই সুর, যা বাজে দিশেহারা প্রাণে,
আমি সেই আলো, যা হাসে সূর্যের টানে।
আমার চোখে স্বপ্ন, আমি স্বাধীনতার মশাল,
আমার বুকেই দোলা দেয় নতুন যুগের খেয়াল।
তুমি কি দেখেছ আমায়, এই পৃথিবীর বুকে?
আমি তো সত্য, আমি তো প্রেম, আমি মাটির সুখে।
আমার গানে বাজুক তোমার হৃদয়ের তার,
জাগুক তোমার বুকে আজ বজ্রের আর বার।
আমার পথেই চলবে তোমার নতুন দিনের ডাল,
আমি সৃষ্টির কণ্ঠে, বাজাই বিজয়ের মালা।
________________________________________









2. নারী জাগরণের গান

ওগো নারী, জাগো তুমি, মাটির তল থেকে,
তোমার ডাকে ওঠে জাগ্রত পৃথিবী আলোতে।
তুমি যে মাতা, তুমি শক্তি, তুমি যুগের দিশা,
তোমার কোলে লুকিয়ে থাকে সভ্যতার আশা।
তোমার গানে জাগুক প্রেম, হৃদয়ে আলো,
তোমার চরণে মাথা রেখে, চাঁদও বলে "ভালো"।
তুমি আকাশ, তুমি সমুদ্র, তুমি সৃষ্টির রূপ,
তোমার চোখে খেলে যায় জীবন গড়ার ধূপ।
তুমি মুছে ফেলো দুখের অশ্রু, জ্বালাও আলোর মশাল,
তোমার প্রেমের স্পর্শে জাগে প্রকৃতির উচ্ছ্বাস।
তুমি ভাঙো সব শৃঙ্খল, যা তোমাকে করে দাস,
তুমি হও পৃথিবীর বুকে নতুন দিনের আকাশ।
________________________________________











3. মাটির প্রতি প্রেম

মাটি বলে, “আমি তোর মা, আমাকে ভালবাস,
আমার বুকেই জন্ম নিলি, আমার কোলেই শ্বাস।
তুই যে আমার শাখা-প্রশাখা, আমি তোরি ঘর,
আমার বুকেই জেগে থাকে তোর অমর কবর।
তোর ঘামে ভেজা মাটিতে ফুটে সোনার ধান,
তোর কর্মে জাগে আলো, সুখের হয় ত্রাণ।
আমাকে ভুলিস না ওরে, আমি তোরি সাথী,
আমার কোলেই পাইবে তুই শান্তি আর মাটি।
তুই যদি ভুলিস মোরে, আমি হবো ক্ষীণ,
তোরই কারণে হারাবে রে জীবনের দিন।
তুই মোর প্রেমে ভরা বুকে রাখ ভালোবাসা,
আমি হবো তোর চিরসাথী, সোনালি আশা।”













4. ঝড়ের গান

ঝড় বলে, “আমি আসি তোর মাটি নাড়াতে,
তুই যদি থামিস ভুলে, আমি আসি জাগাতে।
তোর হৃদয়ে নেমে আনি বজ্রের গর্জন,
তুইও জাগ, তুইও শোন, বিপ্লবের ঘোষণা।
আমার শিরায় বইছে আগুন, তুই কর হিম না,
আমি কাঁপাই সব শৃঙ্খল, ভাঙি মিথ্যা শিখা।
তুইও আমার সাথে হাঁট, তুলে নে তলোয়ার,
আমি হবো তোরই শক্তি, তোর বিজয়ের বার।
আমি আসি নিয়ে আলো, অন্ধকারের দেশে,
আমার স্পর্শে ওঠে জেগে ঘুমন্ত প্রাণ ভেসে।
তুইও জ্বাল, তুইও রাখ, হৃদয়ে এই তাপ,
আমি হবো তোরই বন্ধু, তোরই বাঁচার ছাপ।
তুই যদি মরে চুপচাপ, আমি তবু বাঁচি,
তোর মাঝে আমি রইবো, ইতিহাসের গাছে।
তুইও হবি ইতিহাস, বজ্রের মতো গান,
আমার পথে চলতে শেখ, জাগাও এই প্রাণ।”
________________________________________








5. প্রকৃতির আহ্বান

প্রকৃতি ডাকে, “এসো তুমি, আমায় ভালোবাসো,
তোমার সুখের গাঁথায় আমি চিরনতুন হাসি।
তোমার ঘামে ভেজা মাটিতে ফুটুক ফুলের গান,
তোমার চোখে জ্বলুক আলো, জাগুক নতুন প্রাণ।
তুমি যদি ভুলে যাও, আমি হবো নিঃশেষ,
তোমার লোভে মরবে পাখি, হারাবে সব আশ।
তুমি আমায় রক্ষা করো, আমি তোমায় দিই প্রাণ,
তোমার বুকে বয়ে আনব চিরসবুজের দান।
আমার বুকে রক্ত ঝরে, যখন তুমি কাটা,
আমার শিরায় আগুন বয়, তোমার দাহের মাতা।
তবু আমি সহ্য করি, বলি ভালোবাস,
তুমি যদি শোধরাও, আমি হবো অনন্ত আশ।
তোমার মাটি, তোমার জল, আমার থেকে পাও,
আমার সাথে সুর মেলাও, আমার আলো নাও।
আমার কোলেই পৃথিবী হাসে, তুমি জানো তো?
আমায় ছেড়ে বাঁচবে কি রে? আমিই তো তোমার খোঁজ!”
________________________________________









6. স্বাধীনতার সূর্য

স্বাধীনতার সূর্য বলে, "আমি জ্বলি অনন্ত,
আমার আলোয় পৃথিবী খোঁজে স্বাধীনতার কান্ত।
আমার তাপে মুছে যায় অন্যায়ের সকল চিহ্ন,
আমি দেখি হৃদয়ের মাঝে সত্যের নবীন জন্ম।
তুমি আমার দিকে তাকাও, সাহস করে দাও পা,
তোমার বুকে রাখো আশা, দূর করো সব ভয়।
তোমার রক্তে ফুটে উঠুক অগ্নিযুগের স্বপ্ন,
তুমি হও নতুন জীবন, মুক্তির এক অন্তর্নয়।
তোমার চোখে দেখুক সবাই স্বাধীনতার আলো,
তোমার তর্জনী হোক মশাল, ভাঙুক বাধার তাল।
তুমি বলো সত্যের কথা, বাজুক তোমার গান,
তোমার কণ্ঠে জেগে উঠুক নবজাগরণের প্রাণ।
আমার পথে যদি আসো, আমি তোমায় দিব সব,
তুমি আমার সন্তান, তুই হবি মুক্তির রথ।
তুমি আমায় ছুঁয়ে দেখ, জ্বলবে তোরই প্রাণ,
তুইই হবি নতুন দিনের স্বাধীনতার গান।”
________________________________________









7. শ্রমিকের কাহিনী

আমি সেই শ্রমিক, যার ঘামে বাঁচে দেশ,
আমার রক্তে জাগে আলো, তবু কেন নিঃশেষ?
আমি ধরি লাঙল, আমি করি পথ তৈরি,
আমার ঘামে ফোটে স্বপ্ন, তবু কেন দুখের বই?
আমার ঘর নেই, আমার নীড় নেই,
তোমরা সুখে হাসো, আমি কাঁদি পথ ছেঁড়ে।
তুমি যদি দেখো আমায়, দাও সম্মান,
আমার হাতেই ফুটবে তোমার সুখের গান।
আমি যন্ত্রের সাথে মিশি, তবু মোর প্রাণ,
আমার পেটে দাও তোমরা অনাহারের দান।
তুমি যদি দাও আমায় সাম্যের হাত,
তবে গড়ব আমি তোমার স্বাধীনতার মাঠ।
আমার হাতে শেকল নেই, তবু আমি দাস,
তোমার চোখে লুকিয়ে আছে আমার সর্বনাশ।
তুমি যদি আমায় রাখো সঙ্গী করে আজ,
তবে গড়ব চিরসুখে পৃথিবীর রাজ।
________________________________________









8. শিকল ভাঙার গান

শিকল বলে, “তুই কেন বাঁধা পড়ে থাকিস,
তোর হাত যে মুক্তি খোঁজে, তুই কেন মিছামিছি হারাস?
তুই যদি ভাঙিস আমায়, তোর পথ হবে প্রশস্ত,
তুই দেখবি তোরই মাঝে লুকিয়ে সৃষ্টির স্রষ্টা।
তুই কেন বসে থাকিস ভয়ে, তুই যে দুঃসাহসী,
তোর হৃদয়ে জ্বলছে আগুন, তুই তো সত্য বলিস।
তুই যদি দেখিস আকাশ, তুই পাবি মুক্তি,
তুই হবে মানুষের সাথী, সত্য আর প্রেমের শক্তি।
তুই ভাঙিস অন্যায়ের শিকল, তুই ছাড় আমায়,
তুই যদি থাকিস চুপ করে, সব হারাবি তুই।
তুই হবি বিদ্রোহী, তুই হবে নতুন যুগ,
তোরি পায়ে বাজুক ধ্বনি, তুই আনবি সুখ।
তুই চল, তুই হাঁট, তুই জাগা, তুই শোন,
তোরি পথে ফুটবে বিজয়, রবে না আর ধোঁয়।
তুই যদি দেখিস সূর্য, তুই পাবি আলোর গান,
তুই হবে শিকল ভাঙার ইতিহাসের প্রাণ।









9. প্রলয়ের প্রণয়

আমি তো প্রলয়, আমি তো ধ্বংসের গীত,
আমার অগ্নি চুম্বনে জাগে ভগ্ন দেহরীত।
আমি ছিঁড়ে ফেলি শৃঙ্খল, বুকে জ্বালি জাগরণ,
আমি তুফান, আমি বজ্র, আমি মৃত্যুর আহ্বান।
তোমার ভীত মুখ দেখে আমার হৃদয় হাসে,
তুমি জানো না, আমি সৃষ্টি, ধ্বংসেরই পাশে।
আমি যাত্রা অনন্তে, সময়ের স্রোতে ভাসি,
তোমার সবুজ স্বপ্নে আমি মিশাই রক্তের রাশি।
আমার তপ্ত শ্বাসে খোঁজে নন্দনের বীজ,
আমি মহাকালের পুত্র, আমি যুগের অধিনীত।
তুমি যদি ভাঙো পাপ, আমি হবো শান্ত,
তোমার হৃদয়ে জ্বালাবো প্রেমের মহামন্ত্র।
তোমার গায়ে মাখাবো রুদ্ররাগের লেশ,
তুমি হবে শক্তির প্রতীক, দেবে যুগকে বেশ।
আমি প্রলয়, আমি প্রণয়, আমি যুগের আরম্ভ,
আমার গানে জাগে সেই মহাকালের সুরম্ভ।
________________________________________









10. অভিসারের আগুন

তোমার চোখে পড়ুক আজ মহাসিন্ধুর ডাকা,
তোমার পায়ে বাজুক ধ্বনি, প্রাচীন যুগের শাখা।
তোমার হৃদয়ে ফুটুক রুদ্রের দাহন শিখা,
তোমার কণ্ঠে জাগুক বিদ্রোহের গর্জনধ্বজা।
তুমি কি শুনেছ সেই অনন্তের নীরব ডাক?
তুমি কি ছুঁয়েছ তার মর্মবেদনার আগুন-ছাপ?
তোমার দেহে ঝরে পড়ুক দুরন্ত আলোকধারা,
তুমি হও যুগের শপথ, গগনে বাজাও হারা।
আমি তোমার অভিসারে, চিত্তে আনি ঝড়,
তোমার হৃদয়ে ফেলি ছন্দ, ধ্বংসে করি গড়।
তুমি যদি চাও বাঁচতে, তবে ছুঁয়ে দেখ আগুন,
আমি সেই শিখা, যা দাহ করে শঙ্কার রঙ।
তুমি হও মহাবিপ্লবী, সময়ের প্রতিশ্রুতি,
তোমার হাতে ফুটুক আজ চিরকালীন জ্যোতি।
তোমার পায়ে শেকল ভাঙুক, পৃথিবী করুক গান,
তুমি হও চিরসত্য, যুগের নব ইতিহাসের প্রাণ।
________________________________________









11. তন্দ্রার গর্জন

তন্দ্রা বলে, “ঘুমাস নে, তোর শিরায় বাজে বাজা,
তুই কি শুনিস না রে সময়ের অগ্নিগাথা?
তোর মস্তকে ঘনায় ছায়া, কালো মেঘের আভা,
তুইও তো শুনবি রে, বজ্রের ভাঙনগাথা।
তুই যদি চুপ থাকিস, আমি হবো তোর নাশ,
তোর নিঃশ্বাসে বাজবে কেবল মৃত্যুর পিপাসা।
তুই যদি ওঠে দাঁড়াস, আমি দেব তোরে আলো,
তোর হৃদয়ে জাগুক রুদ্র, মুছে ফেল সব কালো।
আমি তন্দ্রা, আমি তমসা, আমি সময়ের চাহিদা,
তুই যদি হাটিস সৎপথে, আমি হবো তোর যাত্রা।
তুই যদি দেখিস দিগন্ত, আমি দেব তোরে আশা,
তুই যদি মিশিস মুক্তিতে, আমি হবো সঙ্গী ভাষা।
তোর রক্তে জাগুক নবীন, মৃত্যুহীন শপথ,
তুই করিস জন্ম নতুন যুগে, ভেঙে দে মিথ্যা পথ।
আমি হবো তোর বন্ধু, তোরই পাশে থাকি,
তুই যদি মিথ্যা ত্যাগ করিস, তোরই গাইব আঁকি।









12. দুর্বার যাত্রা

আমি দুর্বার, আমি অভ্রান্ত, আমি যুগান্তের ডাক,
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি শঙ্কার শত্রু শাখ।
আমার বুকে বাজে তুফান, কণ্ঠে বজ্রের টান,
আমি জাগি, আমি জ্বালি, জাগুক পৃথিবীর প্রাণ।
তোমার হৃদয়ে ফোটাই রুদ্র, নিঃশেষ করি ভয়,
তোমার শিরায় জাগাই ছন্দ, যা আনে মুক্তির কয়।
তুমি কি শুনেছ আমার গান, তীক্ষ্ণ সময়ের ধার?
তুমি কি দেখেছ আলোর নৃত্য, যেখানে ভাঙে অন্ধকার?
তোমার রক্তে মিশুক আমার বিপ্লবী স্বপ্নস্রোত,
তুমি হও নব চৈতন্যের বাহক, মুক্তির প্রদীপদ্বার।
তোমার চোখে জ্বলুক সেই অভিজ্ঞান দাহ,
তুমি হও যুগের পথিক, সত্যের একমাত্র গাহ।
তুমি যদি থামিস, আমি হবো শাপে পুড়া অভিশাপ,
তোমার ভবিষ্যৎ ফুরাবে রে, তোর পথ হবে চাপ।
তুমি জাগো, তুমি ডাকো, তুমি বাজাও অনল,
তুমি হও কালান্তরের গীত, রচনা কর নব কল।
________________________________________









13. পলাশের পুষ্পিত বিদ্রোহ

পলাশ বলে, "আমার রক্তে রাঙা মাটি,
আমি গড়ি বিজয়ের রথ, ভাঙি সব পলাতি।
আমি দিগন্তে ছড়াই আগুন, জ্বালাই অনন্ত শিখা,
আমি রক্তমাখা ভোর, আমার গান জাগরণ মেখা।
তুমি কি জানো, আমার রং আসে তোর রক্ত ধারায়?
তোমার হৃদয়ের স্পন্দনে আমি বাঁচি আমার আখরায়।
তুমি যদি ভুলে যাও, আমি হবো নিঃশেষিত ছায়া,
তুমি যদি রাখো স্মৃতি, আমি হবো যুগের দাহা।
তোমার বুকে বাজুক আমার চেতনার তান,
তুমি ছড়িয়ে দাও পৃথিবীতে আলোকিত জয়গান।
আমি তো মরণ নয়, আমি তো জীবনের মন্ত্র,
তোমার হাতে রাখি আমি ভবিষ্যতের কেন্দ্র।
তুমি ছুঁয়ে দেখ, পলাশের লালে যুগান্তের গান,
তুমি শোনো, পুষ্পিত বিদ্রোহে জাগুক মানব প্রাণ।
আমি সেই অনন্ত অগ্নি, যা তোমার পথ বানায়,
আমি আছি, আমি থাকব, যেখানে স্বপ্ন হারায়।
________________________________________









14. রক্ত-সিঁড়ির আহ্বান

তুমি যদি উঠতে চাও, রক্তের সিঁড়ি বেয়ে,
তোমার পায়ে জ্বালাও শক্তি, হৃদয়ে যন্ত্রণা ছেয়ে।
তুমি শুনো, এই সিঁড়ি যতই ভয়ঙ্কর,
তোমার জয়ে আছে তারই অসীম অন্তর।
এই রক্তে মিশেছে ইতিহাস, যুগের ক্ষরণ বাণ,
তুমি যদি আঁকড়ে ধরো, ফুটবে নব প্রাণ।
তুমি যদি ভয় পাও, থেমে যাবে চিরকাল,
তোমার পথে থাকব আমি, রক্তের সাক্ষী রুপাল।
তুমি যদি মিশে যাও এই রক্তধারার মাঝে,
তোমার চরণে উঠবে নবীন, বিজয়ের সুর বাজে।
তুমি যদি দেখো, সিঁড়ির শেষে সূর্যের ছাপ,
তুমি বুঝবে, এই পথেই লুকিয়ে নতুন পাপ।
তুমি হও রক্তবর্ণা, তুমি হও বিজয়ীর স্বপন,
তোমার হাতে ফুটুক সেই ভবিষ্যতের মরণ।
আমি সেই সিঁড়ি, যা যুগান্তে ইতিহাস গড়ে,
তুমি যদি ওঠো, আমি হবো সত্য, জ্যোতির আঁধারে।
________________________________________









14. মৃত্যুঞ্জয়ীর গান

আমি মৃত্যুঞ্জয়ী, আমি অমর, আমি যুগের শ্লোগান,
আমার কণ্ঠে বাজে বিদ্রোহ, মৃত্যুহীন প্রাণ।
আমি ছুঁই অসীম আকাশ, অন্ধকার করি চূর্ণ,
আমি সৃষ্টি করি মহাসত্য, করি ভুলের দহন।
তুমি কি দেখেছ, আমার যাত্রাপথে ধ্বংসের লেশ?
তুমি কি জানো, সেই ধ্বংসে আছে পুনর্জন্মের বেশ?
আমি ছড়িয়ে দিই সেই আগুন, যা সব বাধা পুড়ায়,
আমি সৃষ্টি করি সেই আলো, যা পৃথিবীর পথ সাজায়।
তোমার বুকে জাগুক আমার নাম, মৃত্যুকে কর পরাজয়,
তুমি হও অমর জীবনের প্রতীক, ধ্বংসের মাঝেও বিজয়।
তুমি যদি আমায় ডাকো, আমি দেব অনন্ত শক্তি,
তোমার শিরায় বইবে তখন চিরন্তন মুক্তি।
আমি মৃত্যুঞ্জয়ী, আমার গানে বাজুক নতুন কাল,
তোমার পায়ে রাখি অনন্তের শপথমাল।
তুমি শোনো আমার গান, জাগাও হৃদয়,
তুমি ছুঁয়ে দেখ, মৃত্যু হলো এক নতুন প্রয়াস।









15. মহাবিপ্লবের ধ্বনি

আমি মহাবিপ্লব, আমি অনন্তের সুর,
আমার কণ্ঠে বাজে বিদ্রোহ, ভাঙি যুগের দূর।
আমি নিঃশেষ করি অন্ধকার, জ্বালাই রক্তের শিখা,
আমি ইতিহাসের অঙ্গার, ভবিষ্যতের একা।
তোমার শিরায় জাগুক আমার অনল স্রোত,
তুমি হও শপথের পুত্র, ভবিষ্যতের দ্যোত।
তোমার হৃদয় হোক অনন্ত শক্তির ধারা,
তুমি শুনো বিজয়ের তানে পৃথিবীর পূর্ণ দোলা।
আমি ভাঙি সব শৃঙ্খল, আমি শোধাই মিথ্যা,
আমার গানে বাজে শুধু যুগান্তরের কথা।
তুমি যদি ডাকো আমায়, আমি দেব মুক্তি,
তোমার বুকে বাজুক সত্যের চিরন্তন গতি।
আমার পথে আসুক সবাই, শপথের দীপ্তি নিয়ে,
তুমি জ্বালাও বিজয়ের আলো, সত্যের প্রতিমা দিয়ে।
আমি মহাবিপ্লব, আমি যুগের রক্তস্রোত,
আমার তানে সৃষ্টি জাগে, ধ্বংস পায় কিঞ্চিৎ বোত।
________________________________________









16. অনন্তের অঙ্গীকার

তুমি কি শুনেছ সেই গভীর রাত্রির কান্না?
যেখানে সময় দাঁড়িয়ে, যুগের চক্র থামা।
তুমি কি দেখেছ সেই অনন্তের গভীর হাসি?
যেখানে সৃষ্টির অন্তরে লুকায় চিরন্তন রাশি।
তোমার হৃদয়ে বাজুক সেই প্রতিজ্ঞার তান,
তুমি হও যুগের কণ্ঠ, মৃত্যুর মাঝে প্রাণ।
তোমার রক্তে ফুটুক সেই আলোকের স্রোত,
তুমি হও ভবিষ্যতের সেই নক্ষত্রতরু জ্যোত।
আমি সেই প্রতিজ্ঞা, যা যুগকে করে অমর,
আমি সেই শপথ, যা ইতিহাসের গীতিস্বর।
তুমি যদি থামো, আমি হবো মূক,
তোমার নিঃশ্বাসে ফুটুক আলোকের মুকুল।
তুমি হও আমার অংশ, আমি হবো তোমার প্রাণ,
তোমার হৃদয়ে লিখে দেব যুগান্তরের গাণ।
আমি অনন্ত, আমি অঙ্গীকার, আমি সময়ের ধারা,
তুমি হও আমার পথিক, আলোতে কর সারা।
________________________________________









17. বজ্রের বিভীষিকা

আমি বজ্র, আমি ভয়ঙ্কর, আমি আকাশের ক্রোধ,
আমার গর্জনে কাঁপে ধরণী, হয় অন্তরের বোধ।
আমি ছিঁড়ে ফেলি অন্ধকার, আলোকিত করি পথ,
আমি মৃত্যু, আমি জন্ম, আমি জীবন-মৃত্যুর রথ।
তুমি কি শুনেছ আমার রুদ্র ডাক,
তুমি কি দেখেছ অগ্নির ধ্বংসের ফাঁক?
তোমার হৃদয়ে বাজুক সেই রুদ্রের সুর,
তুমি হও যুগান্তরের জাগ্রত পুরুষ।
তুমি যদি মিশো আমার অনল ধারায়,
তোমার শিরায় ফুটবে আলোর দ্যুতিমায়।
তুমি যদি ভাঙো ভয়, আমি হবো শান্ত,
তোমার পথ করবে আলোকিত, দেব চিরন্তন দান।
তুমি যদি থামো না, আমি হবো তোমার আলো,
তোমার হৃদয়ে বাজুক বজ্রের মহাকালো।
আমি সেই ধ্বংস, যা গড়ে নন্দন,
তুমি হও আমার স্বপথ, চিরন্তনের বন্ধন।









18. রুদ্র অগ্নির কাব্য

আমি রুদ্র অগ্নি, আমি ধ্বংসের দাহ,
আমার জ্বালায় জাগে জগৎ, মুছে পাপের প্রলাপ।
আমি ছুঁড়ে দিই মহাকালের তিরস্কার,
তোমার অন্তরে বাঁচুক জাগ্রত অন্ধকার।
তুমি কি শুনেছ আমার অগ্নিস্পর্শের তান,
যা ভেঙে ফেলে দুর্বলের মিথ্যে অভিমান?
তুমি কি জানো, আমি যুগান্তরের চিহ্ন,
আমার শিখায় ফুটে ওঠে আলোর মহার্ঘ বীজ।
তোমার শিরায় মিশে যাক আমার অগ্নিস্রোত,
তুমি হও চিরকালীন শক্তি, দ্যুতির প্রতিমূর্তি।
তোমার হৃদয়ে বাজুক আমার ঝড়ের ডাক,
তুমি হও ভবিষ্যতের সৃষ্টি, বিজয়ের অংশত।
আমি সেই শিখা, যা ইতিহাসে লিখে প্রলয়,
তুমি হও আমার সাধনা, যুগের চিরন্তন বিজয়।
আমি অগ্নি, আমি দহন, আমি আলোর স্রষ্টা,
তুমি জ্বালো সত্যের মশাল, হও ভবিষ্যতের দ্যোত।
________________________________________









19. চিরন্তন শৃঙ্খল ভাঙন

তুমি শোনো, শৃঙ্খল কাঁদে সময়ের মুঠোয়,
তোমার চরণে বাজুক শপথের একতারা।
তুমি ভাঙো সেই শিকল, যা করে বাঁচা কঠিন,
তুমি হও যুগান্তরের পথিক, অন্ধকার ভেদীন।
আমি সেই শিকল, যা যুগ যুগ ধরে বাঁধা,
তোমার স্পর্শে আমি চাই মুক্তির প্রশান্ত ধারা।
তোমার হাতে ওঠুক তরবারি, শাণিত সত্যের তীক্ষ্ণ,
তুমি হও বিদ্রোহী সাধক, যুগের নব নির্মাণ।
তোমার হৃদয়ে বাজুক আমার ভাঙনের রাগ,
তুমি দেখো, শৃঙ্খল গলে জাগে আলোকের জাগ।
তুমি হও চিরসত্য, ধ্বংস কর সব মিথ্যা,
তুমি হও নবজীবনের স্রোত, মুক্তির মন্ত্রপাঠ।
তুমি যদি ডাকো আমায়, আমি হবো তোমার গান,
তোমার শিরায় বাজুক চিরন্তনের অভিযান।
তুমি ভাঙো সব বাধা, ছুঁড়ে ফেল সব লাঞ্ছনা,
তুমি হও অনন্তের প্রতীক, জাগ্রত মহাসনা।
________________________________________









20. রক্তাক্ত ভোরের আহ্বান

ভোর বলে, “তুমি কেন শুয়ে আছো ঘুমে,
তোমার রক্তে বাজছে বিদ্রোহ, কেন তবু চুপ?
তোমার চোখে ফুটুক আমার জ্যোতির উদয়,
তুমি হও সত্যের শপথ, নক্ষত্রের প্রতিপাল।
তুমি কি দেখেছ আমার লালিমার রঙ?
তোমার বুকে মিশে আছে তার দহন, অঙ্গার স্রোত।
তুমি যদি জাগো, আমি দেব চিরন্তন আলো,
তুমি যদি থাকো স্থির, হবে ইতিহাস কালো।
তোমার রক্তে ফুটুক সৃষ্টির মহাকাব্য,
তুমি হও ধ্বংসের মাঝে চিরনবীন প্রত্যয়।
তোমার কণ্ঠে বাজুক মুক্তির সুর,
তুমি গাও আলোকিত জীবনের সুধার গান।
আমি সেই ভোর, যা যুগে যুগে জাগায়,
তোমার হৃদয়ে বাজুক আমার ধ্বনি অনন্তায়।
তুমি হও রক্তাক্ত প্রভাত, যা গড়ে ভবিষ্যৎ,
তুমি মিশে যাও আমার মাঝে, হও অমৃতের যুক্ত।
________________________________________









21. আকাশের আহ্বান

আকাশ বলে, "তুমি কেন বাঁধা পড়ে আছো নিচে,
তোমার ডানায় বাজছে আলোর আহ্বান কিচে।
তুমি কেন ঘুমে মগ্ন, তোমার শিরায় আগুন,
তুমি ছুঁয়ে দেখ, আকাশে লেখা বিদ্রোহের অনুনাদ।
তুমি কি জানো, আমার নীলিমা তোরই প্রতীক্ষা?
তুমি যদি দেখো উপরে, পাবি অনন্ত আশা।
তোমার হৃদয়ে বাজুক আমার অনন্তের গান,
তুমি হও বিজয়ের অঙ্গীকার, জাগ্রত প্রাণ।
তুমি যদি মিশে যাও, আমি হবো তোমার দিশা,
তুমি যদি ডাকো আমায়, দেব তোমায় আলোকসিঁড়ি।
তুমি যদি থাকো থেমে, মুছে যাবে তোর রূপ,
তুমি যদি চাও মুক্তি, আমি দেব তোরে আলো।
তোমার ডানায় জাগুক অনন্তের স্পর্শ,
তুমি হও চিরকালের, যা যুগে যুগে দর্শ।
আমি আকাশ, আমি অনন্ত, আমি চিরন্তন ধারা,
তুমি হও আমার যাত্রী, যাও আলোতে সারা।









22. মহাকালের রুদ্রোপলব্ধি

আমি মহাকাল, অশ্বমেধের শঙ্খধ্বনি,
আমার ধ্যানশিখায় প্রজ্জ্বলিত মৃত্যুর বাণী।
আমি শূন্যে স্থিত চক্র, কালের অক্ষরে আঁকা,
আমার বুকে লিখা শুধু ধ্বংসে জাগ্রত চাকা।
তোমার রক্তে বাজুক আমার অনন্ত স্রোত,
তুমি হও সময়ের প্রতীক্ষা, সত্যের ঐশ্বর্য।
তোমার বুকে ধ্বনিত হোক সেই অমোঘ গান,
যেখানে ভাঙনের মাঝেও থাকে নবজীবনের প্রমাণ।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি চিরন্তন বাণী,
তোমার হৃদয়ে দিই শপথ, জাগ্রত জীবনের টানি।
তুমি ভয় পেও না, আমি তোমার রুদ্রোপলব্ধি,
তোমার শিরায় বয়ে যাক আমার অনন্ত শক্তি।
তুমি যদি থামো, আমি হবো ম্লান,
তোমার হৃদয়ে বাজুক মহাসত্যের আহ্বান।
আমি মহাকাল, আমি যুগান্তরের পথ,
তোমার শপথে ফোটে আলোকিত অরুণোদয় রথ।
________________________________________









23. বজ্রমুখর দাহনগাথা

তুমি কি শুনেছ বজ্রের তীক্ষ্ণ শব্দস্রোত?
যেখানে মৃত্যুর মাঝে লুকায় জীবনের রথ।
তোমার চোখে ফুটুক সেই বিভীষিকার রঙ,
যা ভাঙনেও গড়ে তোলে চিরসত্যের সংগ।
আমি সেই বজ্র, যা করে চূর্ণ মিথ্যা সব,
আমার দাহনে মুছে যায় ক্লান্তি, পাপের অভাব।
তুমি হও আমার সহচর, তুমি ধরো শপথ,
তোমার হৃদয়ে বাজুক নতুন যুগের পথ।
তোমার রক্তে ফুটুক সেই তীব্র আলোকধারা,
তুমি হও অগ্নির প্রতিমা, যুগের নতুন ত্রাতা।
তোমার শিরায় জ্বালাও অনন্তের অনল,
তুমি হও বিদ্রোহী, যুগান্তরের একমাত্র বল।
তোমার কণ্ঠে জাগুক বজ্রের গর্জন,
তুমি হও ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শন।
আমি সেই বজ্র, যা ইতিহাসের সাক্ষী,
তোমার হৃদয়ে বাজুক মৃত্যুঞ্জয়ীর ভাষী।
________________________________________









24. চন্দ্রগ্রস্ত রাতের মিথ্যা ভাঙন
চন্দ্র বলে, "তোমার চোখে ফুটুক আমার কলঙ্ক,
যেখানে রাত্রির গভীরে থাকে সময়ের শপথ।
তোমার হৃদয়ে বাজুক মিথ্যা ভাঙনের সুর,
তুমি হও নবজাত সূর্য, ভোরের আগ্রহপুর।
তুমি কি জানো, আমার আলো তো মায়ার ছাপ,
তোমার বুকে রেখেছি চিরন্তনের প্রলাপ।
তুমি যদি ভাঙো সেই মিথ্যার শিকল,
তোমার শিরায় জ্বলবে অনন্ত আলোকবিন্দু।
তুমি যদি থামো, রাত হবে অন্ধকার,
তোমার হৃদয়ে বাজুক জ্যোতির মহাপ্রসার।
তুমি ছুঁয়ে দেখ, রাতের মাঝে মৃত্যুর হাসি,
তুমি জ্বালাও সেই প্রদীপ, যা করে সব চুরি খাসি।
তোমার ডানায় ফুটুক নব চন্দ্রের দাহ,
তুমি হও চিরকালের আলো, জাগ্রত মহাসভা।
আমি সেই রাত, যা যুগে যুগে মরে,
তুমি জ্বালাও সেই শিখা, যা নবজন্ম গড়ে।









25. প্রলয়ের তেজোদ্বীপ্তি

আমি প্রলয়, আমি বিনাশের সুর,
আমার তালে ভেঙে পড়ে কালো অন্ধকারের দূর।
আমি যুগান্তরের ধ্বনি, আমি মৃত্যুর শঙ্খ,
তোমার হৃদয়ে বাজুক আমার অনলপ্রতাপ জঙ্ঘ।
তুমি কি জানো, আমার গর্জনে লুকিয়ে নব জন্ম?
তোমার শিরায় বইছে সেই স্রোত, যা যুগের অঙ্গ।
তুমি যদি সাহস করো, আমি দেব তোমায় বল,
তোমার হৃদয় হবে চিরন্তনের অনল।
আমার পথে আসুক তোমার অমোঘ শপথ,
তুমি হও যুগান্তরের বিদ্রোহী পথ।
তোমার কণ্ঠে জাগুক সেই প্রলয়ের রাগ,
যা মুছে দেয় সমস্ত মিথ্যা ও স্বপ্নের ফাঁক।
তুমি হও আমার সহচর, আমি হবো তোর আলো,
তোমার পথে জ্বলুক চিরসত্যের প্রভাকর।
আমি প্রলয়, আমি নবজীবন, আমি যুগান্তের গান,
তোমার হৃদয়ে লিখে যাব আমি মহাকালের প্রমাণ।
________________________________________









26. মৃত্যুর অভিজ্ঞান

আমি মৃত্যু, আমি কালান্তরের ধ্যান,
আমার ছোঁয়ায় লুকিয়ে আছে জীবনের প্রমাণ।
তুমি কি ভয় পাও আমায়, নাকি দেখো রূপ,
যেখানে যুগের শেষে জাগে আলোর সূর্যোপ।
তোমার শিরায় বাজুক আমার অনন্ত স্পর্শ,
তুমি হও মৃত্যুকে অতিক্রম করা সেই শক্তি।
তোমার হৃদয়ে ফুটুক অমর সত্যের দ্যোত,
তুমি হও ভবিষ্যতের প্রান্তরে অগ্নিবাহ।
আমি মৃত্যু, আমি সৃজন, আমি অন্তরের দাহ,
তোমার বুকে রাখি চিরন্তনের পবিত্র পথচলা।
তুমি যদি জাগো, আমি হবো তোমার বল,
তোমার হৃদয়ে জ্বালাও অনন্ত জীবনের অনল।
তুমি যদি থামো, আমি হবো অভিশাপ,
তোমার শিরায় জাগুক চিরন্তনের সুধাপ।
আমি মৃত্যু, আমি মুক্তি, আমি জীবনের ধারা,
তোমার ডানায় লিখে দেব আমি মহাপ্রভা।
________________________________________









27. অনন্ত ঘূর্ণির আহ্বান

আমি ঘূর্ণি, আমি অনন্ত, আমি সময়ের বাঁধন,
তোমার শিরায় মিশুক আমার ধ্বংসের গান।
আমি নিয়ে আসি সেই জয়গান, যা ছিঁড়ে ফেলে সব বাঁধা,
আমার তালে বাজে যুগান্তরের নিত্য সাধা।
তুমি কি শুনেছ আমার ডাকে মৃত্যুর তান্ডব?
তোমার হৃদয়ে বয়ে যাক আমার অনন্ত মঙ্গল।
তুমি যদি থামো, আমি হবো অসীমের অভিমান,
তুমি যদি ডাকো, আমি দেব তোমায় মহাসত্য প্রাণ।
তোমার শিরায় ফুটুক আমার ঝড়ের শক্তি,
তুমি হও সেই শক্তিসমুদ্র, যা গড়ে জগতের মুক্তি।
তোমার কণ্ঠে বাজুক সেই প্রলয়ের তান,
তুমি হও মহাবিপ্লবের জাগ্রত প্রাণ।
আমি সেই ঘূর্ণি, যা ধ্বংসে গড়ে সৃষ্টি,
তুমি হও চিরন্তনের প্রতীক, যুগের মন্ত্রপাঠী।
তুমি যদি সাহস করো, আমি দেব তোমায় গতি,
তোমার হৃদয়ে বাজুক অনন্তের বিপ্লবী সুর।





..........আমার লিখা বিদ্রোহী কাব্য এর ২৭ টি কবিতা আছে এখানে...............।