অনন্তে যাত্র
মোহামামদ ফরিদ উদ্দিন
শীতের শেষে বসন্তে, কুয়াশা ভেজা ঘাস পেড়িয়ে দেখা হল তোমার সাথে ; সূর্যের হলুদ আভা হঠাৎ তোমার মুখে এসে পড়লো ; হঠাৎ'ই একটা কোমল স্নিগ্ধতা ।
বাক্যহীন প্রতীমা যেমন নির্বাক অপলক চোঁখে তাকিয়ে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ; ঠিক আমার চোঁখও আটকে গিয়েছিল সেদিন তোমার পানে ; ভাবলেশহীন তোমার কাজল মাখা দু'চোখ বেয়ে অম্রু ঝড়ছিল ; তোমার সুন্দর কপল দু'খানি তখন কাজলের কালিমায় মনে হচ্ছিল ভরা চাঁদের মাঝে কয়েক টুকরো মেঘ ভেঁসে আসছে ।
আমি সেদিন তোমার অম্রু দেখে বিস্মিত হইনি বিশ্বাস কর ; বিস্মিত হয়েছিলাম তোমার চোঁখের দিকে তাকিয়ে ; কেননা আমি বুঝতে পারছিলাম তোমার ভেতর বাহির এমনিক অন্তন অবগাহন ।
ঠিক সেদিন'ই চেয়ছিলাম তোমার কপলে হাত দিয় চোখের অশ্রু মুছে দিই ; তোমার সাথে ছায়া হয়ে মিশে যাই ; কিনতু বিশ্বাস কর ছুটি যেতে চেয়েও যেতে পারিনি ; হতাশার বেড়া জাল আমায় ঘিরে রেখেছিল চীনের মহা প্রাচিরের ন্যায় ; কেননা আমিতো জানি ছোট্ট একটা হৃদয় ছাড়া তোমার ছায়া হওয়ার কোন যোগ্যতাই ছিলনা আমার ।
বহু দিন পড় যখন জানতে পারলাম তুমিও আমার চোঁখের দিকে তাকিয়ে আমার ভেতর বাহির সবি দেখেছিলে ; বিশ্বাস কর সেদিন পাগলের মত ছুটছিলাম দিকবিদিক ; শুধু তোমার কাছে যাওয়ার জন্যে ।
কিন্তু আমিযে বড় দেড়ি করে ফেলেছিলাম সেদিন ; তোমার অনন্তে যাত্রী হওয়ার দৃশ্যও দেখতে পারিনি ।।