হাতের আঙুল জানে,
দাদ্‌রা নাকি খেমটা তাল ।
তবলার বুক জানে,
মাত্রাতে বেঁধে দিতে হয় ওদের।

গানের সাথে সখ্যতা হলে তবেই,
দোলে মন দোলে মাথা দোলে শ্রোতা হৃদয় ।

কাওয়ালী কিংবা ঠুংরিতে,
তোমার তবলা বজ্রের মতো বাজতো

তোমার আঙুল দিতো তালের পরশ,
তবলা মনও নিজ থেকে নাচতো।

সুর যেন ছেলেখেলা তোমার,
ঝাঁকরা চুলে দোলাও শ্রোতার প্রাণ

রাগের সাথে তালের মেলবন্ধনে,
সৃষ্টি করেছ কতশত কত গান ।

ধ্রুপদ কিংবা খেয়াল তারও সাথে,
মেঘ রাগ থেকে মেঘমালহার সুরে

বাঁধে সুর বাঁধে মন,
আনন্দ কিংবা বেদনাবিধুর তরে ।

তুমিও বাজাতে তেওরা,ঝাঁপতাল
তোমাতেই তাল উঠতো শ্রোতাদের মনে

তোমার চলে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ তবলা আজ,
তালহীন পড়ে আছে নীরব নির্জনে।

প্রকৃতিও তাল তোলে কত,শোনো
মেঘ বজ্র আকাশের ডাক,ধ্বনি

পরপারে ভালো থেকো জাকির হোসেন,
তুমি সেরা তুমি অনন্য,তুমিই শ্রেষ্ঠ গুণী।