তোমার ঘাড়ের কাছ ঘেঁইষা, চুমু খাওয়া পর
মনে হইলো
সদ্য জন্মানো কচি ঘাসের ওপর ঠোঁট ছোঁয়াইলাম।

তুমি সবে গোসল কইরা আসলা
তোমার চুলে লাইগা থাকা পানির বিন্দু গুলান
ভোরের শিশিরের মতোন মনে হইতাসে,
আমার আইঁকা দেওয়া চুমু – ঠোঁটের বুকে সেই শিশিরজল
খুশীতে গড়াগড়ি করতাসে।

তোমার সদ্য গোসল করা ভেজা ভেজা গন্ধটা
আমারে পাগল কইরা দিতাসে।
আমি সেই গন্ধ ভেদ কইরা চইলা যাইতাসি
কোনো এক শরৎ’এর রোদ মাখা বিকাল বেলাতে।

অসময়ে জন্মানো কদম ফুল নিয়া তুমি ভিইজা বেড়াইতা
তোমার নিজস্ব একটা জায়গাতে।
তুমি মনে মনে ভাবতা,শরৎ কালেও তো শিউলী ফুটতে পারতো
বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ – জল থৈ থৈ করা একটা পুকুর ঘাটে
তুমি সেই শিউলী ফুলের মালা গাঁথতে বইসা যাইতা।

তোমার কপালের টিপটা তুমি ধূসর রঙের জলপাই পাতার ওপর
রাইখা, পানিতে ভাসায়া দিতা।
তোমারে নিয়া ভাবনার স্বর্গরাজ্য থেইকা আমার ধ্যান ফিরলো,
বুইঝা গেলাম – তোমার উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া
আমার নাকের কাছে আইঁকা দিছো তুমি।

তুমি আস্ত একখান গোলকধাঁধার মতো,
অতশত বুঝবার চাই না,
তুমি এই মাতাল করা তুমিটাই থাইকা যাইয়ো আমার কাছে।

© Farhan Noor Shanto