প্রতিদিন তুমি জেগে ওঠো,
ভোর হয়।
যেভাবেই সূর্যকে আবিষ্কার করো না কেন,
সূর্য কিন্তু একটাই।

রোজ নিয়ম করে রোদ আসুক না আসুক,
রোজ বাসন মাজার শব্দ তোমার কানে পৌঁছুক
কিংবা না পৌঁছুক,
ভোর হবার হবেই, শুধু ভেবে নিতে পারলে
ভোরটা তোমারই হবে, একান্তই নিজের।

তোমার দাঁত মাজার শব্দে
আলসেমি ভোর তোমার ভেতর থেকে বিদায় নেয়।

নাস্তা করলে কি না করলে,
এক কাপ চা
সেটা খেতেই পারো।

ভাবতে ভাবতে তোমার ভেতরকার শহরে চলে যাও তুমি,
চেনা অচেনা গলি, ফুটপাত
অনেক প্রশ্নের ভিড়ে ট্রাফিক জ্যাম বাধিয়ে ফেল।

বড় বড় সাইনবোর্ডে তোমার চোখ যায়।
বিজ্ঞাপনে তোমার ছবি, অবচেতন মন,
ভিক্ষুকের সুর করে ভিক্ষা চাওয়া
কিংবা ফুটপাতে ম্যাজিক দেখে শত লোকের হাতাতালিতে
তুমি চমকে ওঠো।

তুমি গিয়ে বসো পুরোনো ভাঙা বাড়িতে
পরগাছা লতাপাতা,
কিংবা ধূসর মাঠে দড়ি ছেড়া গরু ছাগলের তেড়ে আসা।

এত কিছুর মাঝে তোমার মনে হয়
তুমি আছো।
সেই ভাঙা বাড়ির জানালার পাশে গিয়ে বসো তুমি,
শ্যাওলা পড়ে গেছে অনেক আগেই।

এ জানালায় কোনো ছিটকিনি নেই,
চাইলেই উন্মুক্ত বাতাস, চুল ওড়ানো
চোখ বন্ধ করা এক বুক ভরা দম নেয়া যায়।

তুমি শব্দ সাজাও মনে মনে, ভাবো
তোমার ক্ষমতা থাকলে,
নদীকে তুমি সমুদ্রে মিশতে দিতে না।

পৃথিবীর বুকে যারা গাছ কাটে, তাদের জন্য যেন
কোনো গাছ আর ছায়া না দেয়।

যে প্রকাশক নতুন কোনো লেখকের লেখা ছাপাবেনা বলে
ফিরিয়ে দেয়,
সে যেন বোবা হয়ে যায়।

তুমি জানো এ চাওয়াগুলো পূরণ হবার নয়,
তবুও চাইছো, যদি হয়।

আসলে মানুষের চাওয়া ইচ্ছে আবদার
এসব একটা গভীর সুরঙ্গের মতো।

শুধু জেগে ওঠার আগ পর্যন্ত,  
এ সুরঙ্গ বেয়ে চলাচল করা যায়।