শুনেছি,
সে সামনে এলে, আলতো মুঠো নাকি নিবিড় হয়।
একসাথে হেঁটে চলা হয়।
মুঠো ভর্তি বাদাম, ঝালমুড়ির ঠোঙা,
আর, ঐ লেবুর আধিক্য চিনির স্বল্পতায় দু কাপ চা
বলে ওঠে, বলো কেন ডেকেছ ?
সেদিন না দেখা হলো !
এতো পাগল হলে কি চলে ?
মনের ভেতর যুদ্ধ বাঁধিয়ে সেদিন তড়িঘড়ি করে যে গেলে,
সে কথা কি ভুলে গেছ ?
হ্যাঁ মনে আছে।
তবে আমি জানি, অনেক যুদ্ধই থেমে যাবে,
চশমা ভেদ করা ও দৃষ্টি আর মুচকি হাসিতে
আর, ঠোঁট রাখলে ঠোঁটে ।
ছাড়ো ওসব !
হাঁটি চলো।
আচ্ছা কখনও কি ছুঁয়ে দেখেছ, মেঘেদের বর্ণমালা ?
কিংবা আবৃত্তি করেছ কি, ঠোঁট পাড়ি দেয়া আমার রচিত
কবিতাগুলোকে ?
নাহ্ তো, ওসব পারি না বাপু।
তবে তুমি শিখিয়েছিলে,একঝাঁক পরিযায়ী পাখিদের মেয়াদ
ক'দিন থাকে!
কিংবা, কুয়াশার চাদর গায়ে কি করে পাহাড় ঘুমোয়।
কি জানি! কবে কি শিখিয়েছিলুম মনে নেই।
আচ্ছা,
তুমি কি এখনও কাঁপা কাঁপা হাতে চুল বাঁধো?
নাকি এখনও তোমার মা বেঁধে দেয় ?
কেন? সে জেনে তুমি কি করবে ?
না মানে,
তোমার চুলগুলো বেঁধে দেয়ার দায়িত্ব নিতে চাই।
রোজ নিয়ম করে সে চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে দেব।
ধ্যাৎ, তুমিও না।
চলবে...............