আর্দ্রতা, শীতের প্রকোপ
ঠান্ডা হাওয়া, কাঁপুনি, জড়সড় মুহূর্ত।
এই যে এতো গাছ, ডালপালা, পাতা
শেকড়
ও হ্যাঁ শেকড়! আঁকড়ে ধরা ছাড়া
ও কি'ই বা জানে আর?
চার পাশে হাত ছড়িয়ে দেয়ার মতো ডালপালা
কচি পাতা।
পাখির বাসা, ছানাদের কিচিরমিচির।
ওরা কি হীমঠান্ডার এ আর্দ্রতা, এ হাওয়ায় কাঁপেনি?
কাঁপেনি উড়ে আসা শীতের তুলোরা সব?
কেউ কি ভেবেছে সেটা?
শেকড়ের বুক জুড়ে ঝরে পরা অজস্র পাতারা
নতুনদের ঝরে পরার অপেক্ষায়।
কারণ, শীতের মৌসুমি হাওয়া ওদের থেকে
অনেককেই উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
শেকড়ের আঁকড়ে রাখার ক্ষমতা আছে বৈ'কি!
সে ক্ষমতা মাটিকে কামড়ে ধরে রাখা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এই যে ধুলো, পাতা, ডাল ভেঙে পরে থাকে
শেকড়ের বুক জুড়ে, বোঝো?
শেকড়ের স্পন্দন !
দিন যায় দিন আসে, হেমন্তের পরপরই গাছেরা
নিজেদের সাজিয়ে নেয়।
আবার একই নিয়মে, শীত গত হবার আগেই
ঝরে যায় সব। হ্যাঁ সব।
থাকে শুধু অপেক্ষা, আর অপেক্ষা
বসন্ত আসবে।
আবার সাজিয়ে দেবে সব, নতুনত্বের উৎসব হবে।
হাওয়া বয়ে চলে, গাছেদের শরীর ছুঁয়ে
এ হাওয়া অপেক্ষার
এ হাওয়া তোমার কথা মনে করায়।
তোমার শিখিয়ে দেয়া অভ্যাস,
লোকে যাকে অপেক্ষা বলে
হ্যাঁ অপেক্ষা।
বসন্ত তোমার অপেক্ষা।