তারপর,
চুপ চুপ থাকতে থাকতে,
বুকে প্রচন্ড চাপ অনুভূত হয়।
চোখের সীমানা পেরিয়ে
জল আসতে আসতেও আসে না।
ছলছল সে চোখের কান্নার
আগ মুহূর্তটা আমরা এক ঢোকে গিলে ফেলি।
আমাদের খুব কান্না পায়,কান্না হয় না।
নীরবে সহ্য করে নেই বোবা কান্নার,
একেকটা হেচকি তোলার আওয়াজ।
চোখের সামনে যখন দেখি,
কেউ কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে,লুকোচ্ছে নিজেকে।
কিংবা নিজের সমস্তটা তার কাছে উজাড় করে দিচ্ছে,
তখন আমরা নিজের দিকে খেয়াল করি,একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া
কিছুই আসে না।
ও খুব ভাগ্যবান,চাঁদ কপাল ওর।
আমরা তবুও দেখতে থাকি,
কাঁদছে কেউ,কাঁদুক।
ভারী হোক বাতাসটা।
আদৌ জানিনা,তার কান্নার পেছনে কি কারণ,
বিষাদ নাকি খুশিতে আত্মহারা!
তবে প্রচন্ডরকমের ভাঙাচোরা সেটা খানিক আন্দাজ হলো।
আমরা কাউকে মনে করে যে কাঁদবো,
সেরকম মনে করার মতো মানুষগুলোও কেন যেন নেই।
এই অবাধ্য অসুখ যেন আমাদের ভেতর,
আমাদেরকে নিয়ে কানামাছি খেলে যায় প্রতিনিয়ত।
আমি তারপরও সে কান্না দেখতে থাকি,
এত মনোযোগ দিয়ে শেষ কবে কোনোকিছু দেখেছি
বলতে পারবো না।
জড়িয়ে ধরা মানুষটা, অনবরত তার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে,
ভেজাচ্ছে তার কাঁধ।
ঠিক সেই মুহূর্তে দেখা মিললো,
গড়িয়ে পরলো জল,আমার চোখ থেকে।
আমি কিংবা আমার চোখের সীমানা,
এবার আর বাধা দিলো না।
মুক্তোর দানার মতো সে চোখের জল আমি,
হাত পেতে নিলাম।
আমার হাসি এলো,
ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি,
তৃপ্তির হাসি।
মুঠো বন্দি করে সে মুক্তোর দানা তুল্য জল নিয়ে,
আমি হাঁটা শুরু করলাম।
পেছনে ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করছিলো,
কিন্তু তাকাইনি।
মনে মনে শুকরিয়া বলে,খেয়ালি অন্ধকারের দিকে
এগোতে থাকলাম।