বেলা ফুরোনোর আগে এসেছি তোমার দ্বারে!
অপেক্ষার তালা খুলে দিয়ে যাও এসে
আরও কিছুকাল থেকে যাওয়ার ছিলো।

এই যে দেখ,
বিকেলের রোদটা এসে আমার গাল ছুঁয়ে
সন্ধ্যে নামাতে এলো।
বেলা শেষে তুমি এসো হে সখী
তোমার সাথে সন্ধ্যে দেখবো না’হয়।

আমাদের চলাচল
পাঞ্জাবি আর বাহারি শাড়ির আঁচলে।
ছুটে চলা গন্তব্যহীন পথের দিকে।
না বলেই কাছে চলি আসি আমরা
ভালোবাসি একে অপরকে, চলুক পথচলা।

আমার কাঁধ ছুঁয়েছে তোমার উষ্ণ নিশ্বাস,
বলো কোন সে টানে মায়ায় জড়াও?
তোমার সাথে বেঁধেছি হৃদয়
জুড়ে থাকায় কোনো বিচ্ছেদ যেন কড়া না নাড়ে।
তুমি থেকে যেও বাকিটা জীবন এমনি করে।

আরও কিছুকাল চলা বাকি
বেঁচে থাকতে হবে তোমাকে আমাকে
আমাদেরকে।
মহামারীর পর ঝড় তুলবো দু’জন
চায়ের সাথে খোশগল্পে।
নতুন কবিতা নিয়ে ইচ্ছে করেই তর্কে জড়াবো তখন।

হিংসে হয় তোমাকে দেখে
কেন এভাবে তাকাও?
চোখ ফেরানো যায় না।
তুমি তোমার মতন করে কেন ওভাবে
আমাকে চোখে বন্দি করে ফেল।

প্রতিটা হাসির ভেতর যেন তুমি
জড়িয়ে আছো।
তোমার কানের ঝুমকোর কাছে
বেজে ওঠে তোমার হাসির শব্দ।
কথাদের ভিড়ে ফিরে আসি
আসি বারংবার, আমার মাঝে তোমাতেই।

কখনও, চুপ করে থাকায় কোনো বিষণ্ণতা নেই,
এই গাছ কি প্রকৃতি!
আমি শুনি ঘাসেদের বুকে ফড়িং এর চলাচল
পিছুপায়ে আমার দিকে এগিয়ে আসে কেউ।
ওমা, সে’তো এক পরিচিত বিকেল।
সেসবই আমার, তোমার কাছে ঋণি হয়ে থাকি বিকেল,
শোধ করতে পারবো না।
শুধু এমনি করে আমায় রোজ জড়াস।
যেমনি প্রিয় সখী বাহুডোরে আমায় মিশিয়ে নেয়।

অনেক সময়ের ভিড়ে
আমাদের কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্ত হবে,
এক ঠোঙা ভর্তি বাদামের সাথে বিটলবনের সখ্যতায়
তোমার আমার, নিজের মতন সময়।
আমার ছেলেমানুষি, বোকা বোকা কথার ভিড়ে
তুমি হাসো, হাসিতে লেগে থাকে জীবন
এইতো বেঁচে আছি।

নিজেকে দেখার সাধ আমার আজন্মকাল,
কেন এত ভালোবাসি নিজেকে?
কেন ই বা ভালো না বেসে থাকতে পারিনা?
প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো না
মৃদু হেসে ভাবি
চলুক এমনি।
নিজের কাছে নিজেকে ভালোবাসার মতো
মহৎ কিছু আর হতে পারে না।
ঠিক তেমনি,আমার ভেতর যেন তোমাকেই খুঁজে পাই।
নড়েচড়ে বসা একটা অস্তিত্ব, অবয়ব।
একটা মানুষ।

© Farhan Noor Shanto

(২০২০)