শুদ্ধ কবিতার সন্ধানে ফিরে যাই
গোরস্থান শ্মশান,সমাধিস্থলে।
টুকে রাখি মৃত কিছু শব্দের সংসার।

কবিতা পিপাসু পাঠক,
যার কন্ঠ চৌচির তৃষ্ণায়
বজ্রকন্ঠে ঝড় ওঠেনি যে মঞ্চে!
একটা বিশুদ্ধ কবিতার জন্য।
তার জন্যই আমাকে
সমাধিস্থলে খুঁজতে হচ্ছে ঘুমন্ত সব কবিদের।

বেঁচে থাকার সময় যতখানি প্রয়োজন ছিলো তাঁদের,
আজ বেঁচে না থাকার পর তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন।

শুদ্ধতার কাছে ঘেঁষতে চায়না কেউ,
কেউ বোঝেনা শুদ্ধ কবিতা পাঠকের কাছে
বেঁচে থাকার অক্সিজেন।

বিষাদ ব্যথা বিচ্ছেদ প্রেম,
এ নিয়ে লেখা কবিতায় পাঠকের অনুভূতি নড়েচড়ে বসে।

অথচ,বিদ্রোহ দেশ রাষ্ট্র,ভ্রমন
কিংবা শিক্ষা আহার যুদ্ধ নিয়েও লেখা হয় সহস্র কবিতা।
যৎসামান্য মানুষ ওতে তৃষ্ণা মেটায়।

এসব সমাধিস্থল কবিতার মৃতঘর,
ভেবেছি তাঁদের সনে আলাপ সেরে মৃত কবিদের নিয়ে
বইমেলার আয়োজন করবো।

নয়তো দিনকে দিন তাঁদের শূন্যতা
পাঠকদের একা করে দিয়ে যাচ্ছে।

তোমাদের আজও বড্ড প্রয়োজন,
মিথ্যে ধাঁধার এ কৃত্রিম ভূগর্ভে
শুদ্ধ কবিতার জন্ম বিরল।

কথা ছিলো তোমাদের অনুসরণ করার,
অথচ নিজস্বতার বুকে চাপা মাটি দিয়ে
অনুকরণ করায় রত সব।

ওতে কি আর তৃপ্তি মেলে?

ফিরে এসো হে কবিগণ, তোমরা ফিরে এলেই
রঙ তুলিতে এঁকে ফেলা হবে
অলিখিত কবিতার ছলে,কবিতার চিত্রকল্প।