এইতো ভাবি লিখবো না,
তবুও পারা যায় না।

ফের তুমি সাজো, খুব সাধারণ ভাবে
তোমার চুলের সর্পিল সিঁথি
গায়ের মেঠোপথের মতো, দু'ধারে ঘাস
মাঝে ধূসর মাটি।

যে সিঁথি বেয়ে চুল কুণ্ডলি পাকিয়ে
তুমি খোপা বাধো।

তোমার ঘাড়ের চুল, সদ্য বেড়ে ওঠা ঘাসের মতো
হাওয়ায় খানিক দোলে,
ক'টা চুল সামনে থেকে সরিয়ে তুমি কানের কাছে গুজে রাখো।
বাতাসে কখনও দোল খায় তোমার সে চুল।

ঝুমকো কানে চুলেরা সব, খেলা করে
ঝুমকোর গায়ে চুলের চলাচল, আলিঙ্গন।

তোমার ঐ আধভেজা খোপায় খুঁজে পাই,
গোটা শহরের ঘ্রাণ
ভেজা রাস্তা ফুটপাত, বাদাম ভাজার গন্ধ।

এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুলে তোমার আঙ্গুলের
চলাচল।
এক বিকেলে ভেজা তুমি, তোমার তুমিময়ের সুবাস
সবকিছু লেগে আছে ও খোপায়।

এ এক তৃপ্তির স্বাদ
ভাবনার, তোমাকে দেখার ।

তোমায় ঘিরে নেমে আসুক বৃষ্টি
মানুষের ছুটোছুটি,চোখ বন্ধ করে আকাশ পানে নিশ্বাস নেয়া
এক মুহূর্ত।

আমি ভীষণ গোপনে তোমায় ভাবি,
লিখে যাই।

তোমার শাড়ি, খয়েরী ব্লাউজের সাথে বাহারি আঁচল।
শাড়ি জড়ানোর পর, আঁচল জড়াও যখন
এক সমুদ্র ঢেউ উঠে আসে তাতে।

তোমার ছোঁয়ায় আঁচল মন্ত্রমুগ্ধ আজ
তোমার শরীর বুক কাঁধ জুড়ে তার উচ্ছ্বাস।

ও শুভ্রতায় কাবু হয়ে আসি আমি,
আমার চোখে তুমি লেগে থাকো কিছুকাল মুগ্ধতা নিয়ে।