নিজের কম্ফোর্টজোনের বাইরে গিয়ে টিকে থাকতে পারা,মানিয়ে নিয়ে চলতে জানাটাই ম্যাচিউরিটি।
আমি অন্তত সেটাই মনে করি।

কারণ,আমার মন,ইচ্ছে,চাহিদা অনুযায়ী কখনই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তৈরি থাকেনা,থাকবেও না।

আমরা যেমনটা প্রত্যাশা করি, ঠিক তেমনটাই পাবো,
তেমনটাই ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
ভালোমন্দ সব মিলিয়েই বেঁচে থাকতে হয়।

শিক্ষা,খেলাধুলা,কর্মজীবন,মানুষের সাথে সম্পর্ক,কথোপকথন - সর্বোপরি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই,সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে পারার মানসিকতা ও মনোবল - প্রায় সবারই রাখা উচিৎ।

নিজের অবস্থান থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা ও ধৈর্যের সহিত,
এগিয়ে যাওয়া এবং ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকলে,
বেঁচে থাকাটা,টিকে থাকাটা বড্ড বেশি দুষ্কর।

আপনার ভালো লাগছে না বলেই যে সেই বিষয়টি খারাপ,
সেই মানুষগুলো খারাপ সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ।

জীবনে চলতে গেলে অনেক কিছুই হজম করে কিংবা এড়িয়ে চলতে জানতে হয়।
আপনি যেমন কখনই পার্ফেক্ট হতে পারবেন না,
তেমনি আপনার কম্ফোর্টজোন অনুযায়ী,
প্রত্যাশা অনুযায়ী জীবনের সবকিছু পেয়ে যাবেন তেমনটা কখনই সম্ভব নয়।

তাই,আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞান,যৎসামান্য অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি - নিজের কম্ফোর্টজোনের বাইরে গিয়ে মিশতে পারাটা,
মানিয়ে নিতে পারাটাই প্রকৃত ম্যাচিউরিটি।