যে কথার নাম জানিনা,
জানিনা আদৌ সেসব কথা কিনা
ওসব বলার জন্যই, ভেতর ভেতর ছটফট করে মন।

মন থেকে মস্তিষ্ক, মস্তিষ্ক থেকে ঠোঁট অবদি পৌঁছাতে পৌঁছাতে ,
দ্বিধাদ্বন্দ্বের সিগন্যালে আটকা পড়ে যায় খানিক।

মন-মস্তিষ্ক ঠোঁট,পালাক্রমে এক লম্বা রাস্তার নাম।
যে রাস্তায় অনুভূতি একজন পথিক ।

দ্বিধান্বিত মুহূর্ত, পোড়া প্লাস্টিকের মতো ধোয়া তৈরী করে,
ওতে প্রচন্ড চোখ জ্বালা হয়, সয়ে নিতে পারলে কিচ্ছু নয়।
নয়তো মন মস্তিষ্ক  ঠোঁটের রাস্তায় নেমে আসে বৃষ্টি, চোখ থেকে।

পুরো শরীর একটা মানচিত্র,
যার সীমান্তে পাহাড়া দিচ্ছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
গাছপালা প্রকৃতির মতো ঢেকে রাখে পোশাক,
এ শরীর।

প্রতিবেলা যখন পোশাক ছাড়ি, টিশার্ট, ফতোয়া, পাঞ্জাবি
হাতঘড়ি, চোখের চশমা,
মনে হয় আস্ত এক খোলসের আবরণ থেকে ছাড়াচ্ছি নিজেকে।
ভেতরটা তো কেউ দেখতে পারে না, দেখতে চায় না।

বোতাম, বুকের লোম উন্মুক্ত হলে ওটা
একটা দখিনের জানালার মতো হয়ে যায়।
উঁকি দেয় আমার মন, নাম না জানা কথা নিয়ে বসে থাকে সে,
এ জানালার ধারে।

এ মনকে প্রেমিকও বলতে পারো তোমরা।
কিংবা কাঁচাহাতের ছোটখাটো কবি।

মন মস্তিষ্ক থেকে ঠোঁট অবদি যে কথা বলতে গিয়েও বলা যায় না,
ওসব কথা কলমবন্দি করে লিখে ফেলে সে।

থাকুক না মন মস্তিষ্ক ঠোঁটের রাস্তায় জ্যাম,
অনুভূতিটা সে রাস্তা ছেড়ে সোজা কলমের কাছে এসে ধরা দেয়।

চোখ-হাত কলমের দাপট চলুক না খানিক
দেখিই না কি হয়!