কবিতা কি কখনও মানুষের বেকারত্ব
ঘোচাতে পারে?

সে'কি পেতে পারে,লেখার স্বাধীনতা?

বাকশক্তি হারিয়ে গেলেও
যার কলম কথা বলবে অবিরত।

একটা কবিতা লেখার পর কেন,
একথালা ভাত সামনে এসে হাজির হয় না?

কেন ফুটপাতে,সংগ্রাম করা আধ পাগলাটে লেখক,
দেয়াল ভর্তি কবিতা লেখার পরও,তার কবি স্বত্তার
স্বীকৃতি মেলে না?

জীবন-বেঁচে থাকাকে যিনি কাছ থেকে দেখেছেন।
লিখেছেন বেঁচে থাকার সুপ্ত বাসনায় অজস্র কাব্যকলা।

ফুটপাত তাকে যে শিক্ষা দিয়েছে,
সে শিক্ষা কেন মানুষ, নিজের ভেতর ধারণ করার জন্য চেষ্টা করে না?

কবিতায় বেঁচে থাকার ভরসা খুঁজে নিতে হয়।
কবিতা রম্যরচনা মেলে,মেলে বিরহ বিষাদ
প্রেম বিয়োগের কথা।

শেখায় লেখকের দর্শনে ধরা পড়া জীবনের দৃশ্যপট।

শুধু লেখার জন্য স্বাধীনচেতা মন চাই,
স্বচ্ছ কাচের মতো মানসিকতার,সরল কথামালা।
যা মানুষকে নাড়া দেবে এক নিমেষে।

কবিতা জানান দেয়,
যিনি লিখে যাচ্ছেন তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে
ভালোবাসা,পর্যালোচনা কিংবা
সুনিপুণ সমালোচনা ব্যতীত কিছুই চান না।

কিংবা কেও বা লিখে যান,
শুধুই আত্মতৃপ্তির জন্য,
নিজের জন্য।