কবিতা নির্বাসনে গেছে,
হাত সরিয়ে নিলেই অভিমান করে বসে কলম।

এই কথাদের ছেলেখেলা,
ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে ধরাবাঁধা নিয়ম।

আমি ক্লান্ত, হতাশ হয়ে গেলে
আমায় অনুপ্রেরণা জোগায় রবীন্দ্র – নজরুল।
তাঁদের লেখা সব হাতপাখায় শীতল বাতাস করতে থাকে।

অচিরেই কি করে কলমবন্দি করতে হয় কথাদের,
ভাঙাচোরা অন্তমিল ছেড়ে
পছন্দে কি করে লিখে ফেলতে হয়,ওরা বলে দেয়।

ঘড়ির কাটায় বসে ভ্রমন করে আসে মুহূর্ত,
অনেক লম্বা ভ্রমন।
ফের ফিরে এসে বলে দেয় প্রেক্ষাপট।

যাদের নিয়ে লিখে গেছেন গুণীজন,
কিংবা রাগে ছুড়ে ফেলেছেন বাতিল সব কবিতা,
তাদের ব্যর্থতা পথপ্রদর্শক হিসেবে,
আমায় হাত ধরে টেনে তোলে,নতুন করে ভাবতে শেখায়।

ওরা আমার মাথার ওপর বটবৃক্ষের ছায়ার মতো।

প্রেরণা,
নীরবতার শব্দ শোনা।

আয়োজন করে কি আর লিখতে বসা যায়?
কলমের কান্না কি আর বাষ্প হয়ে কালো মেঘ হতে পারে?

যে প্রশ্নের শেষে প্রশ্নবোধক দিতে ভুলে যাই আমি
সে আদৌ প্রশ্ন হবে না কেন?

বুঝতে চাও না তোমরা? নাকি,
বুঝতে পারো না!

আজন্ম লিখলেই কি সার্থকতা?
ভাবতে পারোনা?ভাবো ভাবো।

নয়তো ছেড়ে দাও,পরের লেখা আসার আগ অবদি।