কবিতা চরিত্রহীন
হ্যাঁ চরিত্রহীন।
কবিতা নারীর শরীর, যৌবনের চলাচল,
আঙ্গিক বিবরণের কথা বলে।
কবিতা জানে নারীর স্পর্শকাতর জায়গার কথা,
বলে শরীরের ভাঁজ, আধ খোলা শাড়িতে পেটের ভাঁজ
নাভি, কোমড়ের যৌন বাসনার কথা।
কবিতা বলে,
বৃষ্টি ভেজা নারীর গায়ে লেগে থাকা শরীরের কথা
ওসব নাকি চোখ জুড়োনো সৌন্দর্য।
কবিতা বলে নারীর ঠোঁট, ঠোঁট বেয়ে আসা বৃষ্টির পানি
জিহ্বা, চোখের চাহনির কথা।
কবিতা জানে, নারীর উন্মুক্ত পিঠ কারোর কাছে
পেইন্টিং এর ক্যানভাস।
রঙ বেরঙ দিয়ে সে উন্মুক্ত পিঠ মাখামাখি।
কবিতা চরিত্রহীন,
কবিতা ব্লাউজ'বিহীন নারীর গায়ে জড়ানো শাড়িকে
সাহিত্যরূপ দেয়।
কবিতা ক্ষুদার্ত নারীর,
সরলতার সুযোগে ছিনিয়ে নেয়া
ইজ্জতের কথা বলে।
কবিতা তুমি পাপী,
তোমার চোখ অভিশপ্ত।
তোমার মাঝেই উঠে আসে ,
নারীর অসহায় জীবনের বাস্তব চিত্র।
পয়সার বিনিময়ে,
দরজা বন্দি বেশ্যার আহার জোটানোর কথা।
কবিতা তোমার কাছে নারী বড্ড সহজলভ্য,
চাইলেই তুমি তাকে যেভাবে ইচ্ছে দেখতে পারো
গিলে ফেলতে পারো তোমার ভাবনার নোংরামিতে।
যেমনি, চা'য়ের দোকানে বসে যুবক, বিস্কুট চা'য়ে ডুবিয়ে
পাশ দিয়ে যাওয়া কোনো মেয়ের শরীরে চোখ রেখে বিস্কুটে কামড় বসায়,
যেন সে বিস্কুট নয়,
সে মেয়ের শরীরে কামড় বসালো।
কবিতা তুমি নষ্ট, তুমি ধ্বংস।
এতো পাপ মোছার সুযোগ তোমার আদৌ আসবে কি?
এলে জানিও।