ফিরে এসেছি শব্দভাণ্ডারের কাছে।
হেথায় শীতল আকাশ,
মেঘ ছায়ায় বৃষ্টির জন্য মেলে দেয়া
ছাতা – ই কার।
প্রেমিক প্রেমিকার মতো জুড়ে থাকা যুক্তবর্ণ,
বিবাহিত দম্পতির ন্যায় আরও কিছু যুক্তাক্ষর,
ছোট্ট শিশুর মতো চন্দ্রবিন্দু কাঁধে।
কমা সেমিকোলন দাড়ি ওরা আত্নীয়পরিজন
প্রশ্নবোধক, সে’তো প্রতিবেশী।
সময় কাল ভেদে ওদের ব্যবহার করা হয়,
অজস্র শব্দ মিলে, লাইন বাক্য,
মাঝখানে থেমে যাওয়ার জন্য আবার কমার আগমন।
এভাবেই চলবে
তুমি তোমাদের কথা।
একটানা বলতে গেলে গলাও তো শুকিয়ে আসে
হঠাৎ হঠাৎ।
থেমে পড়তে হয়, বলতে হয়।
তাতে শব্দভাণ্ডার, বাক্য, অনুভূতি,
বলার বা বোঝাবার যে প্রচেষ্টা,
সেটা সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
গোটা বাংলা বর্ণমালাকে একপাশে রেখে,
বিরামচিহ্ন গুলোকে আমাদের ব্যক্ত কথাভাণ্ডারের সাথে
মিলিয়ে বসানোর মাঝেই, বলতে পারার স্বার্থকতা চলে আসে।
এরা একটা পরিবারের মতো,
যৌথ পরিবার।
যার সর্বকনিষ্ঠ জন চন্দ্রবিন্দু, যে ছোট শিশুর মতো
কাঁধে চড়তে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
আর শেষাংশে সকলকে আগলে রাখে দাড়ি।