সীমাবদ্ধতার বেড়াজাল পেরিয়ে তুমি,
তোমার নিজস্ব একটা জগৎ তৈরী করে নাও।

তোমার নিজের ভেতর জেগে থাকা সহস্র প্রশ্নের কাছে,
তুমি ফিরে না গিয়ে,
খোঁজো কি করে সেসব এড়িয়ে চলতে হয়।

তোমার চুলের বিনুনির কাছে ধেয়ে আসে পাখির দল।
খোঁপা করো যখন,
সেই মুহূর্তটা প্রজাপতি কাছে এসে ভীড় করে।

খুব সাধারণ ভাবে নিজের ব্যক্তিত্বের যত্ন নিয়ে,
সবার কাছে যে অসাধারণত্বের নৈপুণ্যতা,
ফুটিয়ে তোলা যায়;তা তুমি জানো।

তুমি জানো,তোমার নিজের অস্তিত্বের কাছে
তুমি কতোটা প্রিয়।

মান অভিমান,বিষাদ,প্রফুল্লতা কিংবা
কাজল ছেয়ে আসা চোখের জল - সবেতেই তুমি সামলে নাও নিজেকে।

তোমার মনের ভেতর যে কাব্যকথা রচিত হতে থাকে,
খুব সামলে নিয়ে তুমি সেসব লিখে ফেলো।

প্রত্যাশার কাছে না ঘেঁষে নিজেকে শিখিয়েছ,
অল্পতে কি করে খুশী থাকা যায়।
তুমি পরিণত তোমার নিজের জগৎ'এ।

চলতে ফিরতে তোমার পায়ের শব্দই তোমার কানে বাজে,
সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠার সময় তোমার ছায়াও সহচরী হয়ে থাকে।

জীবন,অনুভূতি,চাহিদা,সফলতা-ব্যর্থতা
হিসেবের বেলায় তুমি অমনোযোগী।

তুমি জানো,
তোমার নিজের জন্যই তোমাকে চলতে হবে অনেকটা পথ।

যে পথের শেষটা খোঁজার তাড়া নেই,
শুধু থেমে না গেলেই তুমি খুশী।