ভোরের সূর্য, কি
বিষণ্ণ সকাল, ঠাঁই হয়েছে কত কবিতায়।

কত মেঘ মেখেছিলো আগে,
শুকিয়েছে ভেজা মাটি।

যে পিঁপড়ের বাসায় পানি ঢুকেছিলো
তারাও চলে গেছে।

চিনির কৌটো কি জানে?
নিজের থেকেও ভারী জিনিস বয়ে বেড়াতে পারে
পিঁপড়ে গুলো!  
অদম্য সাহস মনোবল নিয়ে বাঁচে তারা।

দু হাত খুলে,
দিগন্তে বুক ভরে নিশ্বাস নেয় যে,
সে চাইলেও পারে না, মুঠো ভরে দিগন্তের বিশলতা
কুড়িয়ে নিতে।

মেঘ রোদ বৃষ্টি
শুষ্কতা কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে জীবন।
প্রত্যেকের মনের ভেতর একটা করে আবহাওয়া দপ্তর
বসবাস করে।
যারা আগাম বুঝতে পারে অনেক কিছুই।

যে ডায়েরীর পাতায়, লেখা শুরু করা হলো,
সে ডায়েরী আদৌ জানেনা, সেই লেখা শেষ অবদি
শেষ করা হবে কিনা।

শব্দ পিপাসায় ভোগে ডায়েরীর পাতাগুলো,
বেনামি, শিরোনামহীন খুচরো কথাদের ভিড়ে ,
নিজের কথা লেখা হয়ে ওঠে না।
বলা হয় না, আমি ফুরিয়ে গেলাম
অপেক্ষায় থেকো না।
এই শব্দ পিপাসা মেটাতে পারলাম না তোমার।
সে ডায়েরী ফেলে এলাম নদীর তীরে।

ওপাশ থেকে ডাক এসেছে,
ফিরে এসো না আর, ফেরার প্রয়োজন নেই ।

আমি নদী, ডায়েরীর বিপরীতেই হাটা দিলাম,
মনের আবহাওয়া দপ্তরকে সাথে নিয়ে।