কখনো কখনো কফির চুমুকে
অজস্র নীরবতা ভাঙে।
জীবনের অনেক গল্প নিয়ে যখন
ভাবনায় মগ্ন বাউণ্ডুলে ছেলেটা,
চশমার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে সুদূরে ভেসে যাওয়া মেঘেদের, বলতে না পারা কথার মতো মনে করে।
ঠিক তখনই, কফির কড়া গন্ধ ,
তার মগ্নতার অবসান ঘটায়।
তখন কলমের ডগায় ভাবনার জন্ম নেয়,
দু এক ফোঁটায় শহরতলী, বারান্দা, সিঁড়ি ঘর
আবছা ভেজা কিংবা শৈতপ্রবাহের একটা বিকেল বেলা।
আর তাতেই লেখার খাতায়, কলমের আনাগোনা।
কড়া কফির আরেক চুমুকে,
রোদ নিভিয়ে দেয় মধ্য দুপুর।
ভাবনায় অন্য কেউ,
কল্পনারী, আঁধারের কাব্যকলা কিংবা
আনমনে বকা প্রলাপ।
এক আকাশ ভরা মেঘ জমে ছিলো ,
কল্পনারীর সদ্য গোসল করা ভেজা চুলে।
নদীর শেষ জায়গা যেমনি সমুদ্র,
তেমনি আমার ভাবনায়ও
কল্পনারী ছেড়ে প্রলাপে পৌঁছায় কখনও কখনও।
আমি আবার ফিরে আসি, কফির কাপের কাছে।
আজ বড্ড চিনি দিয়ে ফেলেছি, বেখেয়ালে তখন
কি নিয়ে যে ভাবনায় পরেছিলাম, সে নিজেও জানিনে।
এখন অবশ্য চিনি ছাড়াই চা কফিতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।
এইতো,আবার প্রলাপ, ছন্দপতন,
কল্পকাব্যেরা অশান্তি বাঁধিয়ে দিলো,
কি যে করে না ওরা!
ধ্যাত, ভাল্লাগেনা।
কফি, আধঠান্ডা।
ভাবছি,আত্মজীবনী লিখবো কিনা, নাহ্ থাক।
আমি অতি সামান্য,
তারচেয়ে বরং ডাকনামগুলো কুড়িয়ে আনি,
বড্ড ছোঁয়াচে ওরা।
আমি বারান্দা ছেড়ে সিঁড়ি ঘরের দিকে,
এখানে আগে রোজ ক'টা পায়রা এসে বসতো।
ভাঙা লাটাই, ভাঙা রেডিও, ফিতের ক্যাসেট,
ছবি ছাড়া ভাঙা একটা ফ্রেম। ওসবই পড়ে আছে।
এখন আর ঘুড়ি ওড়াই না বলেই হয়তো,
পায়রাগুলো আসে না।
আমি আবার চুপ হয়ে গেলাম,
হাতটাও হালকা লাগছে।
ও হ্যাঁ, কফিই তো শেষ।