কেউ কবিতা হয়
কেউ হয় গল্প।
কেউ বা হয়ে যায় অন্য কারোর জন্য
ভুলের দৃষ্টান্ত;শিক্ষা।
কেউ বা আশ্রয়,
একটা ভরসার মানুষ।
যে আদতে অন্যর খারাপ লাগাটা
কিঞ্চিৎ ছুঁয়ে নিতে জানে।
যে জানে,ভেতর ভেতর ঝড় বয়ে গেলে
মানুষ কতটা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
স্থিরতা কিছুতেই আসে না,
দ্বিধান্বিত নাকি বুঝেশুনে ওরা ভালো আছি বলে
কে জানে!
আমি নিজের কাছে এসে দাঁড়াই,
প্রশ্ন করি।
কতোটা জানি আদতে নিজেকে?
প্রত্যুত্তর খুঁজিনি, হেসেছি।
আমি ফাঁকা হাতে
কলম চেয়েছি।
পেলাম বাতাস,ঝাপটায় উড়ে যায় পাতা
এলোমেলো করে দেয় চুল।
শার্টের বোতাম খুলে গিয়ে
উন্মুক্ত হয় বুক।
বুক, কাঁধ জুড়ে তুলে রাখা
কতো মানুষের ঘুম, প্রশান্তির কান্না।
ঘাড় পিঠে আলিঙ্গন আঁকা,
জাপটে ধরা এক বুক দীর্ঘশ্বাস ।
আমার পাঁজরে আমি ঠাঁই করে দিই তাদের
যারা কেঁদে আমায় ভিজিয়ে দিয়েছিলো।
পৃথিবীর সমস্ত কান্না, আকাশ ভাঙা চিৎকার
লুকিয়েছিলো এ বুকে।
নাহ্, কেউ দেখেনি
আমি সেসব আলিঙ্গন করে নিয়েছি।
আমি জানি এ কান্নার কোনো শব্দ নেই,
ছিল খানি হেচকি তোলার আওয়াজ।
যে কান্নার কোনো শব্দ হয় না,
বুকে মুখ বুজে থাকা
সে কান্না খুবই ভয়ানক হয়।
হৃদপিন্ড তা জানে।
যে হৃদপিন্ড বয়ে চলে শীতলতা
চোখের জল বাষ্প হয়ে উবে যায় তাতে।
হাত, ঘুম পাড়িয়ে শান্ত করে দেয় তাদের,
যতটা কানের কাছে ঘুম পাড়ানির গান লেগে থাকে।
© Farhan Noor Shanto