প্রতিবার শীত যেন ,
একরাশ শূন্যতা নিয়ে হাজির হয়।

কখনও কখনও বাতাস ,
স্বেচ্ছাচারী আবহের আভাস দিয়ে যায়।

বিষণ্ণ একাকীত্বে যে নীরবতা,
তা ভাঙে ,সজোরে লেগে যাওয়া দরজার শব্দে।

বারান্দার ঝুলন্ত টব ক্রমশ দোল খাচ্ছে,
পাতাদের গা গড়িয়ে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির দানা।

বই'এর সেল্ফে ,
আর আগের মতো ধুলো জমে না।
আধ পড়া কবিতার বই,
টগবগে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দেয়া লিকার,
লিকারের রঙ ছাড়তে ছাড়তে আরও একটি কবিতা পড়ে ফেলা।

কানে ভেসে আসা আযানের ধ্বনি,
বুঝিয়ে দিলো,সন্ধ্যে নেমে এসেছে।
পর্দা টেনে দিয়ে,
আলো জ্বালিয়ে চোখ বন্ধ করে শুনছি আযানের ধ্বনি।

এ সুরের ডাকে ,
সাড়া না দিয়ে থাকা যায় না।

ভালোমন্দ,প্রাপ্তী অপ্রাপ্তি,বিষণ্ণ কিংবা
সার্বিক অর্জন - তাঁর কাছেই ফরিয়াদ রাখি।

এরপর,
আমার বলা কথাগুলো আর কেউ শুনতে পাবে না,
জানতে পারবে না ভেতরের বয়ে বেড়ানো শব্দগুলো।

শুধু তিনিই জানবেন,
এবং ,
তিনি জানলেন!