এতদিন যে মায়ের উপেক্ষিত আর্তনাদ-
নিমিষে বিলীন হয়েছে ইথারের গায়,
রাজপথে উত্তাল জনস্রোতে “মুগ্ধ” ফোয়ারাটি-
যারা রঞ্জিত করেছে হিংস্র উন্মত্ততায়,
বৃদ্ধ বাবার অশ্রুবারি নিত্য ঝরেছে যাদের রক্তোচ্ছবে
সব কিছুর হিসেব দিতে হবে।
অতি নগন্যের রক্ত-ঘামে অঙ্কুরিত অর্থনীতি-
ক্লান্ত শ্রান্ত করেছে যেসব দেশীয় বর্গীর দল,
নাগরিকের সম্পদ লুটেছে যারা মানচিত্রের থাবায়,
মধ্যবিত্তের কষ্টার্জিত সঞ্চয় গোগ্রাসে গিলে-
সানন্দে উগরে দিয়েছে পশ্চিমা সভ্যতায়,
ইট পাথরের বোবা উন্নয়ন ঠেসে দিয়ে জাতির গলায়-
যারা হয়েছে মোটা তাজা বিত্ত আর বৈভবে;
এসব কিছুর হিসেব দিতে হবে।
যে দুর্নিবার আগুন জ্বেলেছ মানুষের রক্তকনিকায়,
শিরা-উপশিরায়, হাঁড় পেশী অস্থিমজ্জায়;
এ আগুন নিভাবে কে?
চুকাতে হবে বহুদিনের পুরোনো দেনা পাওনা,
রাজরোষে হতাহতের প্রাণের দাম দিতে হবে কড়ায় গন্ডায়,
পারবে কি মুছে দিতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ-
মানুষের মন থেকে?
যদি না পার! তাহলে মনে রেখো,
এক লহমায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে জনতার ফুৎকারে!
মুক্তিযুদ্ধের গর্ভ প্রসূত স্বাধীনতায় যারা পরিয়েছে
পরাধীনতার মায়াবী শিকল,
দেশপ্রেমিক মুখোশের আড়ালে চুপিসারে করেছে
পরবশ্যতার সুচারু বিস্তার,
রাজনীতির মুক্ত আকাশে বিছিয়েছে যারা-
মেঘ-কুয়াশার ঘন আস্তরণ,
বৈষম্যের দেয়াল গেঁথেছে যারা চিন্তা মনন আর অনুভবে
সব কিছুর হিসেব দিতে হবে॥