ধূসর মেঘেরা আমায় ঢেকে দেয় বলে সূর্য্য নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
কোকিলের প্রাণবন্ত গান মনের খাদে প্রতিধ্বনিত হয় বলে-
আমি ধন্য বোধ করি;
লুটেরার ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্টকে নিত্যকার আহার্য বানিয়ে-
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি;
আমাদের চাপা কান্নাগুলো আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে যায় বলে
অঝোরে বৃষ্টি নামে আষাঢ়-শ্রাবণে।
কিন্তু আমি আমার হাঁড়ের মধ্যে অদ্ভুত এক ব্যন্জনা শুনি
যেমনি শুনি দীর্ঘ মাঠের ঝড়ো হাওয়ায়
গোধূলি বেলায় পাখিদের নিস্তব্ধতায়
নিঃসঙ্গ গাছের মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকায়
অগোছালো আলোতে একাকী পথ চলায়
আবারো আশায় বুক বাঁধি বিক্ষত বুকে।
এই ক্ষত থেকেই একদিন জেগে উঠবে ভবিষ্যৎ
একটি সোনালী সকাল
ফোঁটা ফোঁটা শিশির কণায় দ্যুতিময় হীরা
উঠোনে দূর্বাঘাসের তুলতুলে চাদর ঢেকে দিবে জীবন্ত অগ্নিগিরি
আড়ালে লুকাবে ছিন্নভিন্ন ইতিহাসের চকচকে নিরবতা॥