তোমাকে পাওয়ার জন্যে হেঁটেছি অনেকটা পথ,
রাতজাগা পাখিদের সাথে করেছি মিতালী,
দেখেছি হাস্যোজ্জ্বল আকাশের বুক চিরে তারার পতন,
বৃদ্ধ বাবার চক্ষুকোণে বিন্দু বিন্দু জমা অশ্রু-ফোঁটার-
অলক্ষ্য বিসর্জন;
ভদ্রতার আড়াল থেকে অজান্তে বেরিয়ে পড়া কদাকার মুখশ্রী,
সাম্যবাদের সুরক্ষিত দেয়ালের ওপারে বৈষম্যের মৌন মিছিল,
আজও হাতড়ে বেড়াই স্বপ্ন কিনতে বেচে দেয়া
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
কত কি যে দেখিয়েছ তুমি জীবনের বাঁকে বাঁকে!
দেখেছি বস্তুবাদীতার মহাসমুদ্রে নৈতিকতার-
তলাফুটো নৌকায় চড়ে
আধ্যাত্মিক সুধায় অবগাহন।
ধর্মের লেবাসে বকধার্মিকতার সুকৌশল বাণিজ্যমেলা,
বন্ধুত্বের নির্মল সম্পর্কের দেয়ালে বহুগামীতার
আধুনিক চিত্রকলা।
ঘরে বাইরে অগ্রসরমান নোংরা হাতের ঘৃন্য স্পর্শ
এড়ানোর নিরন্তর সংগ্রাম,
কখনো অসহায় আত্মসমর্পণ লোকচক্ষুর অন্তরালে,
কখনোবা আত্মাহুতির রশিতে ঝুলে;
বুঝেছি যান্ত্রিক প্রগতির যুগে যা কিছু সভ্যতা, তার কিছুটা সভ্য,
বাকী সব মেকী আর কপটতা।
আজ আমার চাওয়ার কিছু নেই, ফেরত দিব আর
কিছুটা ফেরত নিব বলে বেরিয়েছি অবেলায়,
গা ছমছম আঁধার নেমেছে ভুবনজুড়ে,
কাল বোশেখীর কালো মেঘেরা ডানা মেলেছে দমকা হাওয়ায়,
শকুনের দল চেঁচিয়ে বেড়ায় ঝড়ের আশঙ্কায়,
এমন শ্বাপদসংকুল রাতে আগে তো কখনো ভয় পাইনি এমন করে,
আজ কেন এমন লাগছে?
তবে কি আমিও সামিল হয়েছি ওদেরই দলে মনের অজান্তে?
আমি কি হারিয়েছি স্বকীয় সত্ত্বা আর অদম্য মনোবল?
তবে কি ভেঙ্গে খান খান হবে যত্নে গড়া
বেলাভুমির শিশমহল…!