রামপুরা ব্রিজের কাছে বসে এক ঘড়ির মেকার
আমি বসি বনশ্রীতে
লোকজন ঘড়ি নিয়ে আসে
ভাঙাচোরা ঘড়ি
আমি ঠিক করতে পারবো বলে (যদিও পারি না)
দুই-তিনদিন রেখে
আরদিন ফেরৎ দিয়ে দেই
পারি শুধু খেলনা ঘড়ি ঠিক করতে
যাতে যন্ত্র-টন্ত্র নেই
মেকারত্ব বজায় থাকে তাতেই
সেদিন হাঁটতে হাঁটতে
বাচ্চা কাঁটাকে সঙ্গে নিয়ে
আমার কাছে এলো এক মাঝের কাঁটা
চোখে মুখে বিমর্ষ লাবণ্য
বললো— নষ্ট হয়ে গেছে মোদ্দা কাঁটাটা
আমি তাকে সময়হীন ভ্রম্মান্ডের ভালোত্ব বোঝালাম,
সে আমায় বসন্ত, বৃষ্টি, দুপুর
এভাবে বনেনি তার সাথে
উপরন্তু সন্দেহ হতে লাগলো নিজেকে
নিজেকে বোঝালাম— তোর বনে না অনেকের সাথেই
তাই যাদের সাথে বনে না তাদেরটা একদিনও না রেখে বিকল্প দেখিয়ে দেই
রামপুরা ব্রিজের কাছে বসে এক ঘড়ির মেকার
আমার বিকল্প হিসেবে আমি সবাইকে সেখানে পাঠাই
মাঝে-মধ্যে আমিও যাই
নিরাকার মেকার জমাই।