দারুণ প্রিয় ভোরের সূর্যমুখী এ ঘরটা আমার
থাকছি ছয় বছর ধরে একা
এ বাসায় ওঠার সময় একা ছিলাম না যদিও
ছিলাম আমি, স্বাধীনতা আর সুবোধ
আমরা বন্ধু তিন
বছর-দুই পর কেটে পড়েছিলো স্বাধীনতা-সুবোধ
সেই থেকে একা
একা থাকতে ভালোই লাগে আবার খারাপও
ভালো লাগে ঘরটা ছাড়তে চাই না তাই
ঘরটা ছাড়তে দেয় না স্মৃতি
এ ঘরেই আজানরাঙা ভোরে আমাকে কল দিতো আগ্রহ তাকে শোনাতাম ‘মন, হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম’
আগ্রহের ভাবনা উর্বর বীজতলা
অল্পেই গজিয়ে যেত গল্পশাক
আসতোও মাঝেসাঝে সেসব শোনাতে
বসেও থাকতো কখনো সখনো আমার অপেক্ষায়— চাবি দিয়ে দিয়েছিলাম
তেমনি এক অপেক্ষায় এ ঘরে মরে পড়ে ছিলো আগ্রহ ধর্ষণ শেষে
পালিয়ে গিয়েছিলো স্বাধীনতা-সুবোধ
এ ঘরে থাকতে খারাপ লাগায় বাড়িওয়ালা
যিনি ভালো মানুষ
যিনি কেঁদেছিলেন আগ্রহের জন্য
আমি এ ঘরে থাকায় সেই বাড়িওয়ালার হচ্ছে লস
অন্য কাউকে দিতে পারছেন না ভাড়া
দিয়েছিলেন কয়েকবার
ভাড়াটে এসেছিলো, কিন্তু টেকেনি
যদিও ভাড়া হওয়ায় হয়েছিলাম খুশীই
তবু ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ার দোষ আমারই— বলেন বাড়িওয়ালা,
করে যান গালিগালাজ ঘরে এসে
ভাবেন— ওদের তাড়াই আমিই
অথচ আমি তার ভালো চেয়ে
ভাড়াটেদের সাথে থাকি মিলেমিশেই
শধু মাঝেমাঝে
খুব বেশী স্মৃতিকাতর হলে
শরীর ধারণ করে ঝুলে থাকি সিলিং-ফ্যানের সাথে।