আমার কাছে সবি মূল্যহীন,
তুমি হীন।
তুমি এসেছিলে এই ছোট্ট মনপুরায়
তাই আমার কাছে এই মনপুরাটাই সর্গ।
কত দিন এই গোলাপ গাছে ফুটেছে কত ফুল,
দেখতে পাইনি সে গোলাপ।
সে ফুটেছে শত পাপড়ির সুবিন্যাসে,
কত গন্ধ ছরিয়েছে চারপাশে।
বাতাসে পাতা নাড়িয়ে ডেকেছে আমায়,
আমি তাও শুনতে পাইনি,
কত হাজার বার ডেকেছে আমায়।
আমি খেয়াল করিনি।
সেদিন এসেছিলে সে কাননে তুমি ছুঁয়েছিলে সেই ফুল,
তোমার হাতের স্পর্শে আজ সে মহাদামী।
যদিও সময়ের ব্যবধানে হারিয়েছে গন্ধ, পাতা, পাপড়ি ।
তাই আমি সেই গোলাপ ভালোবাসি।
মূল্যহীন ছিল মনপুরার পথ আঁকা বাঁকা
কত বিকেল হেটেছি একা একা,
দুইপাশে মোটা রেন্ডির ডালে পথ ঢাকা
ছায়া, শীতল রেখেছে, সেই গাছে,
পথ সাজিয়ে রাখা আছে ইট পাথরের সুবিন্যাসে।
দুধারে কত ফুল তার বাহারি বং নিয়ে হাসে।
এগুলো যে কত সুন্দর,তা আমার আসেনি নজরে
আমি এত দিন ছিলাম নির্দ্বিধায়োরে
তুমি এসেছিলে মনপুরার সে পথ ধরে।
তোমার আলতা পায়ের কোমল ছোঁয়ার কারণে,
আজ সে পথ অনেক দামি, অণুগল্প অরণ্যে।
যদিও এখন বসন্তের অভাবে হারিয়েছে,
সেই ছোটো ফুলের হাসি।
আমি এখন সেই পথ ভালোবাসি।
মনপুরার সেই ছোটো নদী, সাদা শাপলায় ভরা।
শাপলা পাতার সবুজ মাঠে ব্যাঙযে করে খেলা।
তিব্র স্রোত, মেঘলা আকাশ, পরছে বৃষ্টির মেলা।।
তুমি ভেসেছিলে মনপুরার ডিঙ্গি নৌকায়,
অঝরে বৃষ্টি আর ঘনকালো মেঘ, সাদা ফুল মলিন তোমার ছোঁয়ায়।
আজ সে নদী গ্রীষ্মের রোদে পানি শুকিয়ে,
শাপলাপাতায় ব্যাঙের মাঠ হারিয়ে,
আমার মরা নদী তুমি ছাড়া করে খাঁ খাঁ
তাই মনপুরা আজ বড় একা।
আমি এখনো সেই দৃশ্য দেখি, পারে থাকি বসে
সেই মুহূর্তে মা দিলো থাপ্পড় কষে।
উঠে দেখি আমি বিছানায় বসে।
তাহলে কী, ইহা সপ্ন ছিলো বটে?