শরৎ সকল, বিন্দু বিন্দু জল, কচি ঘাসের আগায়
শরতবাণীর বীণা, ললিত সুরের দেনা, টানছে আমায়
সাদা মেঘের ভেলা, মন যে উজালা, সুবাহা রাগিণীর
মানে না মন, করে উচাটন, কবে পাবো শান্তি নীড়
ছুটির একদিনে, রথতলা করি অচিনে, মন করে খেলা
ফোটেনি আলো, সবকিছু কালো, শেষ আধারো বেলা।
আমি একা স্থির, গাছ গুলো নিবিড়, পাখিরও কথায়।
চার পাশ তৃণলতা, নিঃশব্দে বলে কথা, শুকনো পাতায়
জন প্রাণহীন, শূন্য সুরের বীন, তখনো যে নীরব।
ধ্রুব শীতল, কণ্ঠ অতল, বিহঙ্গ সুরের কলরব
পাখির কলতানে, চিনা কোনো গানে, হাজির লাল গালিচায়
হাঁটতে হাঁটতে পথ, থামলো আমার রথ, কোন এক বাগিচায়
কি যে এক ঘ্রাণ, মুগ্ধ মনপ্রাণ, কোথা থেকে আসে?
পাহাড়ের কাছে, দাড়িয়ে আছে, মুক্তমালা কেশে।
সবুজ তার পাতা, সাদা ফুল গাঁথা, তুমি গাছকন্যা?
বললো সে হেসে, আমায় ভালবেসে, আমি যে নই অনন্যা।
বলি কথা শুনে, যে সুন্দর কথা বুনে, অনন্যা নাহি হতে হয়
যার এতো ঘ্রাণ, মুগ্ধতায় সারা বাগান, গন্ধে মন আঁটকে রয়।
সে না হোক অনন্যা, না হোক গাছকন্যা, সে আমার কেরেছে প্রান
তার কমলা লেজে, ধবল সাজ সেজে, গন্ধে বাতাস করেছে ম্লান।
তুমি শেষ রাত্রের, তুমি শরৎ প্রাতের, সশস্ত্র আলোর বাণী
তুমি ধবল সুন্দরী, কমলা তোমার সিন্দূরী, তুমি শরৎ রাণী
আজ সকল স্বর, বাঁসে বিভোর, সকল তরু উদাস
এসো এসো নীয়ার, আমারও হিয়ার, মাঝে গেঁথেছ বাস
মলিন মুখে, কিরণ চোখে, তাকিয়ে আমার পানে
কে গো তুমি, আমায় করছ দামি, কি তার মানে?
তুমি সুন্দর তাই, স্বীকারে অযুহাত নাই, কৃতজ্ঞতা মনে
বৃষ্টি নদী মেঘদল, দীঘির কালো জল, সবাই জানে।
যে জন কৃতিত্ব না দেয়, সে যেন দেখতে না পায়, এই সুন্দর ধরায়
সুন্দর তুমি গাছ , কেশে খচিত তাজ, সবুজ পাতায় ধবল তাঁরায়।
তোমার গুণে মুগ্ধ, বাতাসে ঘ্রাণ স্নিগ্ধ, ছড়াও ঘ্রাণের আলো
মাতিয়া ছুটিয়া পরাণে, বিমোহিত টানে, স্থীর না থাকিতে দিলো
ঊষার আলো ছাড়ি, মুক্ত কানন দিলো পারি, শেষ প্রান্তে
সুনীল আকাশ, নির্মল বাতাস, দিবারাজ পশ্চিমা কান্তে
সকাল পেরিয়ে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে, সূর্য যাবে তাহার বাড়ি
ফিরতে হবে, নাহলে তবে, করবে আড়ি ঘরের নারী।