পরনে তোমার নীল শাড়ী খোঁপায় বেলি ফুল।
হঠাৎ তুমি রেগে আগুন  আমার একটি ভুল।
বলেছিলাম, দিতে চোখে কাজল, রাখতে খোলা চুল
তোমার প্রেমে ডুববো আমি করবো শত ভুল

ভালো লাগে তোমায় নীল শাড়ীতে
দুহাত ভরা কালো কাঁচের চুড়িতে  
ডাগর চোখ গুলো  কি মায়ায় সাজালে
কসরতের ওই  কালো কাজলে,
কপালে পরে আছে ক'গাছি চুল
তোমার দিকে তাকিয়ে
                     পাড়ি দেবো আমার জীবন কুল

তোমার ওই চিকন নাকে ছোটো নলক
কাজল কালো চোখে মায়াবী পলক
সস্তায় পাওয়া কানের দুল,
পরতে তুমি করো না  ভুল।


বললে তুমি চললে কোথায়?
ওইযে তুমি রাগলে আমায়!
তাই বলে কি চলতে হবে?
না, দুজন মিলে হাটতে হবে,
আচ্ছা.... বাবা চলো তবে।

চলো যায় নদীর পাড়ে,  
নৌকা বাঁধা নদীর তীরে?
উম্ না,  
আমিও যাবো না।

সেখানে আছে নীল প্রজাপতি বাতাসে করে খেলা,
গুধলী বিকেলে ফুলের মাঝে বসায় ওদের মেলা।
যাবে তুমি? থাকতে হবে, খুব নিরবে
আচ্ছা.... বাবা চলো তবে।

এ আসলে কথায়?
কেনো প্রজাপতির মেলায়!
তবে নীল প্রজাপতি কোথায়?

ওইযে আছে’তো, কেনো দেখতে পাচ্ছো না তুমি?
না তো,   দেখছো নাকি তুমি?
হ্যা...  হাত বড়িয়ে যায় হারিয়ে ফুল বনে।
কোথায় তোমার নীল প্রজাপতি,  কোন কোণে?

এই যে আমার সামনে দাড়িয়ে,
ফুলের সাথে করে খেলা হাত বারিয়ে।
তুমি নীলের রানি, নীল কুমারী।
মিলাও নীলের আভা
তোমায় নিয়ে বসবে এখন প্রজাপতির সভা।