নারীর শুভ্রতায় যদি কেউ সুবাসিত হতে নাই পারতো।
তাহলে বড় বড় কবি, লেখক, শিল্পী সৃষ্টি হতো না,
তারা কেই লিখতো না নারীকে নিয়ে কোনো কবিতা, লিখতো না কোনো গল্প, গাইতো না কোন গান॥
নারী পুষ্পময় আবির!
ভিন্ন রঙে রঙ্গিন তাদের পাপড়ি।
তারা রং ছড়ায়, ঘ্রাণ ছড়ায়।
তারা চাইলে পুরুষের মন সপ্ত রঙে আবৃত করে রাখতে পারে,
চাইলে পারে সুভাষিত করতে।
আবার চাইলে, কেড়ে নিতে পারে সব সুভাষ, মুছে দিতে পারে সকল রং॥
নারী শরৎ বসন্তের প্রতীক,
তারা শরতের মমতায় মাধবী হয়ে।
বসন্তের বাসন্তীকা হয়ে ফুটিয়ে তুলে,
নর জাতির মনে বর্ণাট্য আয়োজন।
আবার সেই নারী,
কালবৈশাখীর হঠাৎ গর্জনে,
প্রজ্বালিত ব্যোমে তমসাচ্ছন্ন নীরদে ভাসিয়ে নিতে পারে আষার ধারায় ॥
নারী স্বর্গসুতা,
তারা বল্লভার আবাসন সুশোভিত স্বর্গে শোবিত করতে পারে।
নারী নশ্বরে আবির্ভাব ঘটাতে পারে ত্রিদিবের নিকেতন।
নারী হলো নীরব ঘাতক, নরকের নর্তকী,
নারীশীলে প্রকারন্তর আনি দয়িতের জীবনে রিক্ত পূষন ॥
নারীশীল প্রকান্তর | মুহাম্মদ জহির