তুষের আগুন অন্তর সহা আর্দ্র মনের জল,
রিক্ত লোচন প্রশ্ন করে, সবই কি তার ছল?                    
ফল্গু তাপে বিমূঢ় পাখি ছাড়লো তারই দল,            
কিরণমালী হনন করে অযুত হৃদয় বল।


শব্দগুলো ওলট পালট মনের ভেতর ঝড়,
মুহূর্তরা স্তম্ভিত... যার নেই কোনো নড়চড়।
সরিৎ-সাগর-বারীশ মেলে যায় না দেখা চর,
আটকে পড়া তুফান বুকে কণ্ঠে আনে জ্বর।


গুমোট মেঘে কাব্য ভাসে থমথমে এই রাত,  
ছন্দ মিলে খুঁজে বেড়ায় নতুন জীবন প্রাত।  
তন্দ্রা চোখে অরুণ দেখে হাতে ছিল হাত,
দুঃখ খাঁচায় বন্দী সুখের কষ্টরা চালমাত।  
  

গর্জে গগন নিজেই শোনে নিনাদ ব্যথার গান,
ক্ষোভে আঁধার অঙ্গে মাখে বৃষ্টি বেহাগ তান।  
আতশ মনে গুচ্ছ বাধে অলীক অভিমান,
তাণ্ডবী রোষ রুখবে কি আর এই শ্রাবণের স্নান।


বালির আঁচে রোদন শুষে তপ্ত আঁখির খোঁজ,
সঙ্গী বিহীন শকুন্ত আর উড়বে কোথায় রোজ?
তন্দ্রাসুখ আজ নির্বাসনে ঘুমের গায়ে গোঁজ,
উত্তর নয় খুব যে কঠিন, প্রশ্ন অসহজ।                                  


সংযুক্ত আরব আমিরাত
১৪/১০/২০২২