ইতিহাসের পাতায় পাতায় গল্প-গাথা লেখায়,
তোমার মনের গোপন ব্যথা পাঠ্য কি আর শেখায়?
রক্ত রাঙা পলাশ ফোটে সবুজ পাতার শাখায়,
আজও পবন উড়ায় কেতন স্বপ্ন দেখার আশায়।
তৃষিত নয়ন দৃষ্টি মেলে শ্যামল বুকের তরে,
পুঁজিবাদী শোষণ কি তার কষ্ট মোচন করে,
তবুও আশা জীর্ণ কায়ায় শক্তি লালন করে,
একাত্তরের দিন গুলো ভেবে, ক্ষনে ক্ষনে সে মরে।
মনে পড়ে কি, বাংলাভাষার বিদ্রোহ সংগ্রাম,
এখন কলম কালি শূন্য নাইবা আর লিখলাম,
খসড়ার পর খসড়া জমা দুচোখ ভরে দেখা,
মনের ভয়ে সবটাই তার লুকানো হয়েছে রাখা ।
অভিমানী মন ভুলে গেছে ক্ষণ ধারালো কাব্য কথা,
কিচিরমিচির উটকো শব্দ কানে লাগে বড় ব্যথা,
রাজপথে আজও জ্বলছে আগুন দাবি মানানোর চেষ্টায়,
পিয়াসা কণ্ঠ মুষ্টিবদ্ধ বাকস্বাধীনতা তেষ্টায়।
বিজয়ের উৎসবে আজ দেখো ছেয়ে গেছে অলিগলি,
জীর্ণশীর্ণ দৃষ্টি আটকে পরে আকাশে তে ছোড়া গুলি,
হয়তো তারা মহামন্ডলে কপচায়না বৈষম্যের বুলি,
আকুত হৃদয় প্রশ্ন করে…
আর কতদিন খেলবে ধনী-দরিদ্রের লুকোচুরি?
শহীদ জননী দিশেহারা মন ঘুরে ফিরে দ্বারে দ্বারে,
নাড়ী ছেঁড়া ধন মুক্তি যোদ্ধা এতটুকু সম্মানের তরে,
অঙ্গে তোমার রক্ত মাখা দুর্বার তুমি, লাল সবুজের রত্ন,
সকল বাধা ডিঙিয়ে যাবে এই হোক বিজয়ের স্বপ্ন।
-সংযুক্ত আরব আমিরাত
২৫/১০/২০২৩