আমাদের সুখের দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
বিরহমাখা এই মধ্যরাত্রিতে কোন জোছনা নেই।
একটা সময় তুমি গাইতে,
ঠিক এই সময়টাতেই তুমি গাইতে,
রবীন্দ্র-নজরুল, সুখ-বিরহ ভরা সুর তুলে আমার পানে চাইতে।
হে অষ্টাদশী, তোমার সুরেলা চোখ আফিং থেকেও অম্লান,
তোমার চোখের পলকে যেন হাওয়ায় ভেসে যায় হেনার ঘ্রাণ।
আমাদের সুখের দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
সুদীর্ঘ এই মধ্যরাত্রিতে কোন ঝিঁঝিঁপোকার ডাক নেই।
একটা সময় আমি লিখতাম,
ঠিক এই সময়টাতেই আমি লিখতাম,
তোমার বাঁকা ঠোঁটের হাসিটা কলমচক্ষু দিয়ে দেখতাম।
হে অষ্টাদশী, তোমার দীপ্ত চেহারা বাগানের বরিষ্ঠ কুসুম।
তোমার হাসির ঝলকে যেন দমে যায় পৃথিবীর সকল জুলুম ।
আমাদের সুখের দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
নিঃসঙ্গ এই মধ্যরাত্রিতে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।
একটা সময় আমরা ভালোবাসতাম,
সারাটাদিন জুড়েই আমরা ভালোবাসতাম,
ঝগড়া-খুনসুটি, আরো কত কি নিয়ে হাসতাম।
হে অষ্টাদশী, কি মায়ায়ই না জড়িয়েছিলাম আমরা দু’জন,
কি ভীষণ নিষ্ঠূর হয়ে দেখেছিলাম নিজেদের ভাঙণ।
আমাদের সুখের দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
তোমাকে-আমাকে, কাওকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
হে প্রিয়, আমরা হারিয়ে গিয়েছি জনস্রোতে,
দেখতে যাবোনা তোমায় আর প্রতি প্রাতেঃ
ঘুম ভাঙানিয়া পাখি হয়ে তোমার এলাকাতে।
রাখবোনা হাত আর সেই প্রিয় হাতে,
চাইলে দু’ফোটা জল ফেলো আমার জন্যে মধ্যরাতে।