বড্ড অসময়ে,
তোমার সাথে আমার দেখা।
গোধূলির শেষ বিকেলে।
পাখিরা নীড়ে ফেরায় ব্যতিব্যস্ত।
রবির কিরণও তার সকল সুধা আর সৌন্দর্য গুছাতে মশগুল।
বিশ্বাত্মার সাথে মিলিত হবে বলে।
অথচ তুমি দাঁড়িয়ে আমার ধূসর বিকেলের আঙিনায়,
চারিদিকে মায়াবী তিমিরময়ী নিস্তব্ধতা।
যেন জোনাকিরা সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়েছে সবে।
তোমায় দেখে মনে হলো,
কতদিনের অদেখায় দেখা এই মুখ,
কতদিনের অচেনায় চেনা সেই মুখ।
যেন ভাঙা চালের ফুটো দিয়ে আসা জোছ্নার একবিন্দু চাঁদের আলো।
তুমি এসেছ আমার আঁধার ঘর চিরে আলোর পথিক হয়ে,
এসেছ বিশ্ব গ্ৰন্হগারের কিছু
অসম্ভব মূল্যবান পুস্তক হয়ে।
আর তাই বিশ্বাত্মা আমায় বলছে,
ধরণীতে এখনো তোমার
অসম্ভব কিছু করার,
সম্ভাবনা রেখা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।