মনে হচ্ছিল -তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে পারবনা
হাতকড়ার বেড়ি দুহাতে-
মনে হচ্ছিল-অগ্রসর পদক্ষেপ
কোনদিন তোমা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারবেনা,
লোহার কঠিন শেকল-বাঁধা দু'পায়ে ।
হঠাৎ সমস্ত শক্তি কেন্দ্রিভুত হলো
কম্পিত হলো স্বরযন্ত্র,
প্রস্ফুটিত হলো চির আপন বর্ণমালায়
আমার প্রাণের কথাকুড়ি
আর হঠাৎই যেন-
আমার না পারা,না বলা কথাগুলো
প্রাণবন্ত হয়ে উঠলো, কোন দক্ষ শিল্পীর তুলির আঁচড়ে,
ভুল ভাঙলো তোমার...
শক্ত কঠিন হাতকড়া আর লৌহ কঠিন শেকল ভেঙ্গে
মুক্ত করলাম তোমাকে।
তুমিহীন আমাতে প্রাণ নেই
নেই প্রশান্তি,স্বস্তির ছিটেফোঁটা ।
বাঁধতে পারবোনা কোন বিদেশিনীর সাথে
প্রণয়ের সুর...
তাইতো তোমাকে মুক্ত করলাম -
আপন স্বার্থে,তোমাকে খুব... খুউব ভালোবাসি বলে... ।
যেদিন শুনেছিলাম,
হর্তা-কর্তারা এক বিদেশিনী-কে নির্ধারণ করেছে
আমার জন্যে,
চেপে বসেছিল নিঃশ্বাস বুকের ওপর
ভীষণ ভারী হয়ে ।
তারপর থেকে বন্দিত্ব ঘিরে রেখেছিল আমাকে-তোমাকে
নিজের অজান্তেই কখন-
গাঢ় অনূভুতিতে জমাট বেধেছিল বিপ্লব !
তোমাকে মুক্ত করব বলে-
ভাঙলাম নিজের চারপাশের দেয়াল...।
রাজপথে নামতেই দেখলাম আমি একা নই
তোমাকে মুক্ত করার লড়াইয়ে -
শ্লোগানে মুখর মিছিলে মিছিলে ভাসছে জাতি !
হর্তা কর্তাদের অন্যায় সিদ্ধান্ত বাঁচাতে
বর্ষিত হলো গুলি মিছিলে মিছিলে
হারিয়ে গেল অনেক ক'টি প্রাণ ।
তারপর তুমি দেখা দিলে বিজয়ীনির বেশে
সে আন্দোলনে যে তুমিই প্রেরণা ছিলে ।
প্রেরণা ছিল তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় ...
আর প্রেরণা ছিল তোমার প্রতি অদম্য টান !