গ্রীষ্মের রোদ ওদের দগ্ধ করে
বর্ষার বৃষ্টি সিক্ত করে অবিরাম ...।
ছুঁয়ে যায়না শরতের নির্মেঘ নীল আকাশ-ওদের মন,
হেমন্তের পাকা ধানের ঘ্রাণ
ছড়ায় না নবান্নের আমেজ ।
শীত আবিষ্ট করে নিদারুণ শুষ্কতায়,
তীব্র শীত হাড় কাঁপায়
তবু নেই একটা চাদর জড়াবার !
এমনকি বসন্তও মলিন
হাজার রংয়ের ফুল হয়তো তাদের হাতে বিকোয়
কারো প্রিয়ার খোঁপায় শোভা বাড়াবে বলে ।
আর ওরা, সারাদিনের কষ্টার্জিত পয়সাগুলো দিয়ে
তীব্র ক্ষুধা নিবারণের ব্যার্থ চেষ্টা করে...
হাসিমুখে কখনো তুলে দেয় পুরোটাই
জীর্ণ-শীর্ণ শিশুটির মুখে ।
প্রতিটি ঋতুর চরম মূহুর্তগুলো
ওঁদেরকে ছুঁয়ে যায়,
তাই ষড়ঋতুর কাব্যিক বর্ণনা
অতিরঞ্জিত গল্প মনে হয় ।
শীতের ভোরে ভাপা পিঠা,
দেরি করে ভাঙ্গা আলসেমির ঘুম, আর
তোমার হাতের ধূমায়িত কফির উষ্ণতায়-
হারিয়ে যাই কোথায়...
কিন্তু হারাতে দেয়না ওরা আমায়-
ফিরিয়ে আনে নির্মম বাস্তবতায় ।
দুঃখক্লিষ্ট শিশুর আকাঙ্ক্ষা মেশানো চোখে
অর্থপূর্ণ দৃষ্টির আহবানে-
আমি বেরিয়ে পড়ি...
আজ আমি সঙ্গে নিয়ে আসতে চাই -
শিশুটির উন্মীলিত চোখের তৃপ্তি,
সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ বৃদ্ধের-শুষ্ক ঠোঁটে
উষ্ণতার এক চিলতে হাসি,
দিতে চাই ঐ মা'কে
সত্যিকারের হাসিমুখ !
আমার কিছুই নেই-
শুধু মনের ভেতরে জমে থাকা অসহিষ্ণু দায়বোধ
আর ওদের প্রতি অনুভুত হওয়া প্রীতিটুকুই সম্বল ।
তুমি থাকবে তো, আমার পাশে ?
তোমরা ???
পাবো তো তোমাদের , আমার এই অসম যাত্রাপথে ?