রক্তাক্ত সীমান্ত !
উপুড় হয়ে আছে মানবতা-
নাফ্ নদীর তীরে,
সিরিয়ার আইলান নয়
রাখাইনের সন্তান ।
ওদের নাকি দেশ নেই
ওরা নাকি রোহিঙ্গা ,
মানুষের আবার দেশ !
এই মহাবিশ্ব পুরোটাই মানুষের ;
তবে কেন এই বিভেদ ?
এই কাটাতার !
মনুষ্যত্বের জয়গান গাই,
ধ্বংস হোক সকল অপশক্তির ।
রাখাইনের প্রতিটি বালুকণা,
পাথর, শুকনো-ঝরাপাতার
হৃদয় আজ রক্তাক্ত;
রক্ত ঝরছে অজর ধারায়,
মানবতা আজ নিষ্পেশিত-
সৈনিকদের বুটের তলায় ।
যেখানে আগুন জ্বলে প্রতিটি ঘরে,
ছোট বালিকা, কিশোরী, প্রৌঢ়া, বৃদ্ধা
সবার উপরে সৈনিকদের-
রক্ত পিপাসু দৃষ্টি ;
তাদের আব্রুর নিরাপত্তা নেই,
প্রতিনিয়ত অত্যাচারে জর্জরিত –
সীমান্তে যখন পুশব্যাক-পুশব্যাক খেলা চলে,
নদীতে ভাসমান পিপাসার্ত-
চাতকের মতো তীরের অপেক্ষায়-
ঢেউয়ে ভাসা অনিশ্চয়তায় ।
ঐ কোমল চাহুনি পলকহীন,
আছে অনিশ্চয়তার ভয়,
শিকারের মুখের হরিণের চাহুনির মতো।
কেঁদে কেঁদে ব্যাকুল হয়,
আরাকানের বৃক্ষ, ঘাস,
আকাশের মেঘমালা রাগান্বিত-
যেন কেউ ই চায় না তাদের,
তাদের জন্মই যেন আজন্ম ব্যর্থতা ।
কোথায় আজ বিশ্ব মানবতা ?
তারা আজ চোখে পরেছে টিনের চশমা !
কানের মাঝে গুঁজে দিয়েছে ডিজিটাল হেডফোন !
মানুষের আর্তনাদ পৌঁছেনা তাদের কানে ।
গল গল রোহিঙ্গার রক্ত অনুভূতি জাগায় না-
তাদের প্রাণে ;
ও ! না ! রোহিঙ্গারা তো মানুষ নয় !
ওদের আবার কিসের আর্তনাদ !
কিসের কষ্ট !
আজ ধরাময় মনুষ্যত্ব, মানবতা, নিষ্পেশিত, নির্যাতিত ।