১।
ভারী বুটের আওয়াজ কান পাতলেই শোনা যায়।
প্রকম্পিত ধরা ধুলি উর্ধ্বাকাশে র্ঘর্নীয়মান।
অর্ন্তধান । অদৃশ্যমান।
মানুষ গুলো।
একটু আগেও তারা ছিল তার প্রিয়জনের কাছে।
মৃত দেহ কোলে নিয়ে ভয়ংকর আর্তচিৎকার
কোন এক নদীর ধারে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন,
কবরের অনতিদুরে  দগ্ধময় শ্মশান।
শেষমেশ আমি বিবেকের টুটি চেপে ধরে জবাই করেছি
রাত ভর।
ন্ খানা ইট দিয়ে কচুরী পানার নীচে তলিয়ে দিয়েছি তাকে।
বিবেক পুড়ছে , বিবেকের কবর দিলাম ।
২।
কলমবাজ এখন  মলমবাজ
বুদ্ধি বিক্রেতাগন এখন ধাপ্পা বিক্রেতা।
রাজার টেনশান বলে কথা !  কি করা
লাশের  চরিত্র হরনের একপৃষ্ঠা গাজাখুরি গল্প কোন এক বিজাতীয় পাতায় তুলে দিলেই প্রজাগন প্রশমিত হয়ে যাবে।  
বড় আশা নিয়ে বসলুম টিভি চ্যানেলের সামনে, কিনলুম নামজাদা সব পত্রিকা । শুনবো বলে কত  কথা,  গিলবো কত অমৃত বচন।
হত্যা কান্ড তো  আর লংকা কান্ড নয়,
বিচলিত হওয়ার   কি আছে ? বাহ বাহ!!
ষড়যন্ত্র, এ আভাস পরিষ্কার! বাহ বাহ
লোক সংখ্যা হিসাবে মার্ডার কমই । বাহ বাহ
নিজেরা অন্যদের মত কচুরী পানার মধ্যে লুকিয়ে ছিল,
সম্ভবত দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
উন্মাদ বাক্য আমার ভাল লাগে , তাই শুনি।
৩।
এক ঘটি তাজা রক্ত প্রধান পুরোহিত রাজার পদতলে রেখে বল্লেন শুদ্ধ করুন এ বাংলা এই রক্ত স্পর্ষ করে।
জাহাপোনা উবিঘ্ন হবেন না,
এটা আপনার পদ চাটাদের রক্ত নয়।
নির্দোষ প্রজা সাধারনের রক্ত ,
খুবই পবিত্র।
আপনার মসনদ হবে শুদ্ধ
শত্রুর আগমন হবে রুদ্ধ
আপনি বাঁশি বাঁজান
প্রজাগন করছে যুদ্ধ।