এ শহর আমার এক বিদ্রুপ ভালবাসা
এবং নীল বিষ এক পাত্র।
হাসতে হাসতে পান করি আকন্ঠ।
বাঞ্চিত অবাঞ্চিত আকাংক্ষার সিড়ি বেয়ে এগোয় জীবন।
প্রদর্শিত তীর্যক আলোর দিকে ছুটে চলি জীবন ভেবে,
যদিও সেটা অপেক্ষমান এক মৃত্যুর আহব্বান।
রক্ত পিপাসুরা শুড় দিয়ে টেনে নেয় মেরুদন্ডের স্থিতি।
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আর জকিগঞ্জ থেকে সুন্দরবন
চষে ফেলে শেষে নুর হোসেন চত্বরে চলে বাটোয়ারা উৎসব
এ শহর তেমনি এক কষ্টের ভালবাসা।
জীবনে তাগিদে জীবন বাজি রেখে ঘড়ি ধরে
বেরিয়ে পড়া এক অনিশ্চিত গন্তব্যে।
জীবন ধারন, জীবন যাপনের প্রয়োজনে।
ফেরা হবে কি হবে না কেউ জানে না।
এ শহর আমার পরম যুদ্ধ ক্ষেত্রের বন্ধুর ভুমি।
ঘাতক নরসংহারক ট্রাক, মিনি বাস
প্রায়শই মৃত্যুকে সহজ করে দেয়।
আচমকা বুলেট ছুটে আসে পথচারী হয় লাশ।
উড়ালপুল ভেঙ্গে দানব মৃত্যু চড়াও হয় যখন তখন।
প্রানহীন কতগুলো দেহ নিয়ে এম্বুলেন্স ছোটে হাসপাতালে।
ভয়ংকর যানযটে শেষ নিশ্বাস টুকু ফুরিয়ে যায় রাজপথে
তারপরও চলতে থাকে প্রানপন চেষ্টা-- হাসপাতাল
কতদুর---!
যে প্রান প্রানে নেই আর, সে প্রান ফিরে পাবার আশায়
রক্তের দাগ মিলিয়ে যায়, পায়ে পায়ে চাকায় চাকায়।
পিতামাতার আর্তচিৎকারে জেগে ওঠে না কোন সন্তান।
এ শহর এক নীরব দর্শক, এক গননাকারী
স্পন্দনহীন দেহসমগ্রর।