শান্ত-মারিয়াম ক্রিয়েটিভ বিশ্ববিদ্যালয়। সুসংহত তারুন্য, তেজদীপ্ত ক্যাম্পাস, এবং সদা উন্মুখ জীবনাচারনের সিমারেখা মুখরিত মুহুর মুহুর জীবন উন্মাদনা সৃষ্টির আবহে।
বিস্তীর্ন সবুজ আঙ্গিনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় তার মুখোমুখি!
দু'টি চোখ অতলান্ত এক সুগভীর নির্দেশ!
হে আমি? কোথাও কি দেখেছো এমনতর আখি?
যেখানে দ্বিতীয়টি নেই! গারমেন্টস ফ্যাক্টরী ও বস্তির বিস্তারিত নোটটি ফেলে দিলাম কখন জানি না।
ক্লাসে ঢুকে দেখি হাতে সেটা নেই।
কতবার তাকাতে পারলে আমি বিভোর মুক্ত হবো।
নাহ্ ! এর কোন সিমারেখা নেই।
মুগ্ধ হে তুমি তোমার চোখ , আহা! চারপাশ সবকিছু কত সুন্দর আগে বুঝিনি!
রেল লাইনের ধার, বিএনপি বস্তি, মোহাম্মপুর,তেজগাঁও,
তাজরিন, আইরিন, এবিসি নিটটিং গার্মেন্টস। শীর্ন পায়ে দ্রুত পদক্ষেপ, ঠিক আটটায় অফিস আমিও ক্যাম্পাস মুখী।
আর কত বস্তী আছে দেশে
আর কতটি গার্মেন্টস আছে দেশে।
আগুন লেগে ছাইভষ্ম হতে আর কতগুলো বাকী।
ঝকঝকে করিডোরের শেষমাথায় আমরা কজন সবাইকে ছুটি ডেকে গেছে! ওবামা আবারও প্রেসিডেন্ট । চালকহীন ডাকাত ঢুকে পড়বে যখন তখন যে কারও সিমানায়!
আবার শান্তির ভাষন।
নিজশ্ব গনতন্ত্রের বানী ছড়িয়ে দিলেন। আমরা শান্তি পেলাম।
নদীর ও কেকার মায়ের রান্নার তুলনা নেই।
পার্ট টাইম জব করি।
পোষাচ্ছে না। বিবিএর সাথে বড় বেমানান।
সিথি কেকা অষ্ট্রেলিয়ার পথে।
চোখের সৌন্দর্য্য আবিষ্কারের নেশা আমাকে পেয়ে বসেছে।
একুশ বয়ে চলেছে আপন ক্যাম্পাস এবার নেবো বিদায়।
হেটে হেটে পার হই ক্যাম্পাস। সারি সারি সুউচ্চ দালানকোঠা, তার নিচে ঝুপড়ির সারি।
দুরে গার্মেন্টস থেকে দগ্ধ শরীরের র্দুগন্ধ যুক্তছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।
নাকচাপা দিয়ে আমি সটকে পড়লাম।