দ‌ুরে কিছু চোখে পড়ছে না।
ধোয়ার কুন্ডলী গাঢ় হয়ে ঢাকা জলের উপরিভাগ।
কেমন স্তব্দ সুন্দর প্রাকৃতিক মৌনতা।
শিতল কানাগ্র।
খাঁটি সুঁতোয় বোনা আগাগোড়া একটি রঙ্গীন চাদরে মোড়ানো আমার সর্বাঙ্গ।
তীব্র িশতের আকাশে অসংখ্য স্থীর তারা।
তারা আমায় তীক্ষ্ন দৃষ্টি দিয়ে ছুঁতে গিয়েও যেন পারছে না।
দুরে বটবৃক্ষের নিচে নাড়ার আঙ্গন জ্বলছে।
শীর্ন অনেকগুলো হাত উত্তাপ নিচ্ছে।
ছেলেপুলের দল চুসে নিতে চায় যেন আগুনের সব উত্তাপ দু'হাতে।
শিশির স্নিগ্ধ দীর্ঘরাতে সাইবেরিয়ান পাখির ঝাঁক খুঁজে নিচ্ছে মুক্ত বিলে খানিক আশ্রয়।
হঠাৎ কোথাও শীতের তীব্রতায় কুকড়ানো বৃদ্ধ কুকুরের করুন চিৎকার।
বাঁধাহীন তিরের ফলার মত শীতল বাতাশে এলোমেলো গোলপাতার ছাউনি কুড়ে ঘর। শোনা যায় মুক্ত গ্রাত্রে নদীর ধারের ঘুমন্ত ছোট শিশুর আর্তনাদ।
তারপর আমি জেগে থাকি রাত্রীর কাছে অযাচিত কোন এক প্রহরী।