: এই রিকসা...যাবে?
রিকসাওয়ালা ফিরেও তাকায় না...তরুণী কিছুটা বিরক্ত...
দুজনারই বোধ হয় অনেক তাড়া।
আমার কোন তাড়া নেই...
তবে গুটি-কয়েক তারা আছে...
আরে ভাই, মিথ্যে বলবো কেন!! আকাশেরই তারা...!
বেশি না...মাত্র তিনটে...!
একবার, এমনই আষাঢ়ের এক বাদলাদিনে,
প্রিয়তমার উষ্ণ-কোমল স্পর্শে খুব মন ভিজিয়েছিলাম...
রমনার ওই বেঞ্চিটা...হয়তো এখনো সাক্ষী হতে পারবে!
কী আশ্চর্য লাজুক ভাবেই না জানতে চেয়েছিলে...
কি পাবে বেহুলা, লক্ষ্ণীন্দরকে ছাড়া?
বহু প্রতীক্ষিত ফুলেল বাসরের চিরস্মরণীয় সেই রাতে?
সেদিন কাব্য ভর করেছিলো আমার উপর,
সাতটা ভিন্ন রঙের মুক্তো দিয়ে তৈরি-
এক অনন্যসাধারণ মালার লোভ দেখিয়েছিলাম...!
রঙধনুর সস্তা রঙ নয়...সপ্তর্ষীমন্ডল থেকে ছিনিয়ে আনা দুর্লভ সব রঙ...
তোমার নেশাদুর-চকচকে চোখের সেই ব্যাকুলতার জন্য,
আমি তখনো সব করতে পারতাম...!
হ্যা...
ক্রতু-অত্রি-মরিচীদের উজ্জলতা হরণের দুঃসাহসিক সেই অভিযানে-
অতলান্তিকের অন্ধকার গভীরতাও
চীনের প্রাচীর হয়ে বাঁধা দিতে পারেনি...
... ... ... ... ... ... ... ...
ব্যাস...ওই পর্যন্তই...!
: এই রিকসা...(বলতে বলতেই উঠে বসে)...
: জিগাতলা চল...
বাহ...!! বেশ বুদ্ধিমতী মেয়ে তো...!!
যদিও আমি মেয়েদের বুদ্ধির হিসেব মেলাতে পারি না কখনোই!
তোমাকেও যে বড় বুদ্ধিমতীই ভেবেছিলাম...!
কিন্তু এমন বোকার মতো একটা ভুল করে বসলে...!!!
তুমি হারালে পেছনে ফেরার সব পথ!
আর আমি হারালাম, দুঃসাধ্যকে জয় করার সব ইচ্ছা।
কার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলতো?
মুক্তো তিনটের দুর্ধর্ষ আলোয় এখনো...
চমৎকার দেখতে পাই, পিছনের পথ...