এক সময় সেই তোমাকে আসতেই হলো...
কত শত অমাবস্যা-পূর্ণিমা অকালে বিসর্জিত হওয়ার পরেও...
তোমার আগমনী অবসর, অধরাই থেকে যাবে বলে হুমকি দিয়েছিলো...
ছুড়ে দিয়েছিলো- আপোষহীন শত-সহস্র শর্তের ফুলঝুড়ি...
কিন্তু যতো যাই হোক না কেন,
শেষ পর্যন্ত কিন্তু আসতেই হলো...
সূর্যটাকে লজ্জায় ডুবিয়ে, সকালটাকে শুরু না করলে-
তোমার যেহেতু চলছিলো না কিছুতেই...!
তাই এই সাত সকালেই- কর্তব্য বনাম কবিতা...
মুখোমুখী দাঁড়িয়ে দুজনে...আমিও দ্বিধান্বিত দারুণ,
হ্যা...আজ তেমনই একটা দিন, যেদিন স্বপ্ন-বধের অপার সম্ভাবনা-
থার্মোমিটারের শেষ দাগটাকেও ছুঁয়ে দেয় যেন নিতান্তই অবলীলায়...
আজ হয়তো শুধু কবিতা লিখেই জয় করা যাবে-
ভালোবাসার 'শুকতারা' দেবী অথবা দূরের ঐ মেঘবতীকে!!
বরাবরই তোমার চপলা-হরিণীর ছটফটে গতি,
'অন্ধকারপ্রিয়' এই আমার মধ্যেও সঞ্চার করে অব্যার্থ এক উদ্ভাসিত দ্যুতি,
কিন্তু এখন আর আমি সেই আগের আমি নই...
কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে...
যখন তুমি ফোঁটা হয়ে ঝরে পরলে আমার মেলে দেয়া দু'হাতের মুঠোয়-
আন্তরিক অভ্যর্থনায় বেলীর মালা বেঁধে দেয়া হলো না তোমার কালো খোঁপায়,
কবিতা লিখতে লিখতে নয় বরং ভিজতে ভিজতেই হারিয়ে যেতে হলো,
কর্তব্যের অন্ধ-কারাগারে আত্মসমর্পন নামের আত্মহনন করতে...
অনিন্দ্য সুন্দরী কোন রাজকন্যাই হোক-
অথবা হোক না টইটুম্বুর জলভর্তি কোন মেঘের ভেলা...
চরম চাওয়া বলে আসলে কিছুই নেই...